ডেস্ক রিপোর্টঃবর্ণবাদ এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পর্তুগালে জাতীয় পঞ্চবার্ষিকী ২০২১-২০২৫ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে এই জাতীয় পরিকল্পনা জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য মতামত গ্রহণ করা হচ্ছে যা আগামী ১০ ই মে পর্যন্ত চলবে।
এই প্রথমবারের মতো পর্তুগাল সরকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বিশদ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছে । এ বিষয়ে আলাপকালে নাগরিকত্ব ও সমতা বিষয়ক সেক্রেটারি রোজা মন্টেইরো বলেন এটি সরকারের জন্য একটি বিশেষ দিন কারণ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি পরিকল্পনা আমরা প্রথমবারের মতো জনসম্মুক্ষে নিয়ে এসেছি এবং আমি আশা প্রকাশ করছি সকল নাগরিকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি একটি অর্থবহ ভূমিকা পালন করবে।
আবৈষম্যমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় জনপ্রশাসন, তথ্য এবং জ্ঞান,শিক্ষা-সংস্কৃতি ,উচ্চশিক্ষা , কর্মসংস্থান, আবাসন, স্বাস্থ্য সামাজিক সহায়তা, ন্যায়বিচার সুরক্ষা এবং অধিকার, অংশগ্রহণ এবং প্রতিনিধিত্বকরন, খেলাধুলা, ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম এই দশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়ের উপরে পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারের জনপ্রশাসনের কর্মীদেরকে পেশাদার প্রশিক্ষণ, জাতিগত, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত , ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং সমতা এর উপর বিশদ তথ্য মূলক জ্ঞান প্রদান করে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে পাঠক্রমের বৈচিত্র বৃদ্ধিকরণ এবং কর্মসংস্থানে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে আলাদাভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সহবস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পর্তুগালে ১৯৯৯ সালের ২৮ শে আগস্ট আইন নম্বর ১৩৪/৯৯ এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম বর্ণবাদবিরোধী কমিশন গঠন করা হয় (কমিশন ফর ইকোয়ালিটি এন্ড এগেইনিস্ট রেশিয়াল ডিস্ক্রিমিনেশন) এর উদ্দেশ্য হচ্ছে গায়ের রং, জাতীয়তা এবং জাতিগত উৎস সম্পর্কে বৈষম্যমূলক বর্ণবাদ আচরণ প্রতিরোধ করা। তাছাড়া অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বৈষম্য এর পাশাপাশি সকল প্রকার বৈষম্যমূলক আচরণ আইন এবং বিচারের আওতায় শাস্তিমুলক ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা।