পর্তুগালের ১৯শে এপ্রিল থেকে তৃতীয় ধাপের লকডাউন শিথিল হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
১৯ শে এপ্রিল থেকে খুলবে
- মাধ্যমিক , বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানসমূহ
- সকল দোকান এবং শপিং সেন্টার, রেস্তোঁরা, ক্যাফে এবং প্যাস্ট্রি শপগুলি (সর্বাধিক চার জন বা বহিঃপ্রাঙ্গণে প্রতি টেবিলে ৬ জন), রাত ১০.৩০ অবধি (অথবা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এবং পাবলিক ছুটির দিনে দুপুর ১ টা),
- সিনেমা, থিয়েটার, অডিটোরিয়াম, কনসার্ট হল;
- মুখোমুখি পরিষেবা সহ নাগরিক সেবা কেন্দ্র তবে অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে,
- মাঝারি ঝুঁকির ক্রীড়া কার্যক্রম,
- ছয় জন পর্যন্ত বহিরঙ্গন শারীরিক কার্যকলাপ,
- স্বল্প উপস্তিতি সহ বহিরাঙ্গন ইভেন্ট(১০০ বর্গমিটার এরিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচজন)
- বিবাহ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলি অনুষ্ঠান স্থলের সর্বমোট ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ২৫ % লোক সমাগম সহ।
- বন্ধের সময়সূচী বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি তাই পূর্বের ১১ ই মার্চ এর সাধারণ নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ৯ টায় বন্ধ হবে এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দুপুর ১ টায় বন্ধু হবে(নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সুপার মার্কেট মিনি মার্কেট সন্ধ্যা সাতটা)।
সংক্রমণ সংখ্যা বেশি থাকায় মৌরা , অডিমিরা, পর তিমাও রিও মাইয়ের এই চারটি সিটি করপোরেশন প্রথম ধাপের লকডাউন এ ফিরে যাবে অর্থাৎ খাদ্যপণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান মিনি মার্কেট সুপার মার্কেট এবং রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে তবে শুধুমাত্র টেকওয়ে ও হোম ডেলিভারি। জনগণের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যেমনটা ছিল দেশের প্রথম ধাপের লকডাউনে।
আলানডারোল, আলবুফেরা, বেজা, কারেগাল ডো সাল, ফিগেইরা ডে ফজ, মারিনা গ্ৰান্দে, পেনেলা এই ৭টি সিটি কর্পোরেশনে বর্তমান অবস্থা বজায় থাকবে অর্থাৎ ১৯ শেষ এপ্রিলের উপরোক্ত বিষয়গুলো উক্ত সিটি কর্পোরেশন গুলোতে কার্যকর হবে না তবে ব্যতিক্রম রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সে অনুযায়ী মাধ্যমিক এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৯শে এপ্রিল একযোগে খুলবে।
উল্লেখ্য পর্তুগালে বর্তমানে জরুরি অবস্থায় আগামী ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে , স্পেনের সাথে বর্ডার বন্ধ থাকবে তবে জরুরি প্রয়োজনে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট দিয়ে চলাচল করা যাবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর থেকে পর্তুগালে আসলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।