পর্তুগালে ২৫ এপ্রিল স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় ১৯৭৪ সালের এই দিনে এক সামরিক অভ্যুত্থান চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরশাসনের পতন ঘটানোর মাধ্যমে পর্তুগালে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনে। গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে ঐদিন সামরিক ব্যক্তিদের সাথে সাধারণ জনগণ একাত্মতা প্রকাশ করে এবং সামরিক বাহিনীকে লাল কার্নেশন ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়, সামরিক বাহিনীর সদস্যগন রাইফেলের মাথায় কার্নেশন ফুল গুঁজে দেয় এবং রাইফেল উঁচিয়ে স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপন করেন তাই একে কার্নেশন বিপ্লব হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।
মহামারীর কারণে এ বছরের আয়োজন সীমিত পরিসরে এই আয়োজন করা হয। রাষ্ট্রীয় আয়োজন হিসেবে দিনের শুরুতে জাতীয় সংসদের স্পেশাল অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রধান গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং বিগত বছর গুলির প্রাপ্তি-অপ্রাপ্ত ছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নতি কল্পে সকল দল মত নির্বিশেষে একাত্ম ভূমিকা পালন করার উপায় গুরুত্ব আরোপ করেন। একটি জাতীয় প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং এ সকল প্রস্তাব সমূহ কট্টরপন্থী দল শেগা এর প্রধান আন্দ্রে ভেন্তুরা বাদে সকলেই দাড়িয়ে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।
এই দিনে পর্তুগালের রাজধানীর লিসবনের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এবং উক্ত বিপ্লবের স্মৃতি বিজড়িত সড়ক স্বাধীনতা স্বরণীতে (এভিনিদা ডে লিবারদাদ) বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী জাতীয় বীরদের সম্মান জানাতে হাজার হাজার লোক রেলিতে অংশগ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন আয়োজনের করা হয়ে থাকে কিন্তু গত ২০২০ সালে করণা প্রাদুর্ভাব এর শুরুতে সকল অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।
তবে ব্যতিক্রম এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাজার হাজার লোক উক্ত স্বাধীনতা সরণিতে জড়ো হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুলিশের উপস্থিতিতে দুটি রেলি আয়োজন করা হয়। উক্ত রেলিতে জনগণ গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার পক্ষে বিভিন্ন প্লাকার্ড ফেস্টুন এবং দেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে – ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্রের জয় হোক, স্বাধীনতা সব সময় ইত্যাদি স্লোগান দেন। তবে জনসমাগম নিয়ে ইতিপূর্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব এবং অনিশ্চয়তা দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে বহিরঙ্গন জনসমাগম সহ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়।