Friday, মার্চ ২৯, ২০২৪

২৫ শে এপ্রিল পর্তুগালের জাতীয় স্বাধীনতা দিবস পালন

পর্তুগালে ২৫ এপ্রিল স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় ১৯৭৪ সালের এই দিনে এক সামরিক অভ্যুত্থান চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরশাসনের পতন ঘটানোর মাধ্যমে পর্তুগালে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনে। গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে ঐদিন সামরিক ব্যক্তিদের সাথে সাধারণ জনগণ একাত্মতা প্রকাশ করে এবং সামরিক বাহিনীকে লাল কার্নেশন ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়, সামরিক বাহিনীর সদস্যগন রাইফেলের মাথায় কার্নেশন ফুল গুঁজে দেয় এবং রাইফেল উঁচিয়ে স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপন করেন তাই একে কার্নেশন বিপ্লব হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।

মহামারীর কারণে এ বছরের আয়োজন সীমিত পরিসরে এই আয়োজন করা হয। রাষ্ট্রীয় আয়োজন হিসেবে দিনের শুরুতে জাতীয় সংসদের স্পেশাল অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রধান গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং বিগত বছর গুলির প্রাপ্তি-অপ্রাপ্ত ছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নতি কল্পে সকল দল মত নির্বিশেষে একাত্ম ভূমিকা পালন করার উপায় গুরুত্ব আরোপ করেন। একটি জাতীয় প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং এ সকল প্রস্তাব সমূহ কট্টরপন্থী দল শেগা এর প্রধান আন্দ্রে ভেন্তুরা বাদে সকলেই দাড়িয়ে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।

এই দিনে পর্তুগালের রাজধানীর লিসবনের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এবং উক্ত বিপ্লবের স্মৃতি বিজড়িত সড়ক স্বাধীনতা স্বরণীতে (এভিনিদা ডে লিবারদাদ) বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী জাতীয় বীরদের সম্মান জানাতে হাজার হাজার লোক রেলিতে অংশগ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন আয়োজনের করা হয়ে থাকে কিন্তু গত ২০২০ সালে করণা প্রাদুর্ভাব এর শুরুতে সকল অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।

তবে ব্যতিক্রম এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাজার হাজার লোক উক্ত স্বাধীনতা সরণিতে জড়ো হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুলিশের উপস্থিতিতে দুটি রেলি আয়োজন করা হয়। উক্ত রেলিতে জনগণ গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার পক্ষে বিভিন্ন প্লাকার্ড ফেস্টুন এবং দেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে – ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্রের জয় হোক, স্বাধীনতা সব সময় ইত্যাদি স্লোগান দেন। তবে জনসমাগম নিয়ে ইতিপূর্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব এবং অনিশ্চয়তা দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে বহিরঙ্গন জনসমাগম সহ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়।

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম। ২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি,  সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে। ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়। জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা