Friday, মার্চ ২৯, ২০২৪

পর্তুগালে আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা ৬০ বছর বয়সের নিচের ব্যক্তিদের জন্য স্থগিত

ডেস্ক রিপোর্টঃস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বলেছেন আ্যস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সম্পর্কে আরও সম্পূর্ণ তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ৬০ বছর বয়সের নিচের ব্যক্তিদের জন্য আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত রাখছি, আমরা ভ্যাকসিন কার্যক্রম এমনভাবে সাজিয়েছি যাতে সকলকে ভ্যাকসিন প্রদান করা যায় এবং যারা ইতিমধ্যে অস্ত্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন কেননা রক্ত জমাট বাঁধার এই দুর্ঘটনার সংখ্যা খুবই কম সংখ্যক ।

৮ ই এপ্রিল পর্তুগালের কভিড-১৯ ভ্যাকসিন টাস্কফোর্স এর প্রধান ভাইস এডমিরাল হেনরিক গৌভেইয়া ই মেলো , স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক গ্রাসা ফ্রেইতাস, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পণ্য প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট রুই সান্তোস ইভো যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এর মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করেন।

গত ৭ ই এপ্রিল ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এর মধ্যে একটি যোগ সূত্র খুঁজে পেয়েছেন, তাই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া এবং জনগণের স্বাস্থ্য বিবেচনায় পর্তুগাল সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ বয়সভেদে যেমন যুক্তরাজ্যে ৩০ বছর, ফ্রান্সে, বেলজিয়ামের ৫৫ বছর, জার্মানি, ইতালি এবং নেদারল্যান্ড ৬০ বছর, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডে ৬৫ বছর এর নিচের বয়সীদের জন্য আ্যস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত করেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) বলেছে বিশদ ভবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন বিবেচনা করে এই উদ্যোগ “প্রশংসনীয়, তবে তা নিশ্চিত নয়”।

আ্যস্ট্রাজেনেকা ইতিপূর্বে জানিয়েছিল রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা একটি সাধারণ বিষয় এবং খুব কম সংখ্যক লোকের ক্ষেত্রেই এটি ঘটেছে সুতরাং এর ভ্যাকসিনের সাথে তেমন কোনো যোগসূত্র নেই তবে সংস্থাটি কিছুদিন আগে শিশুদের উপর ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা ট্রায়াল’ স্থগিত রেখেছে।

সতর্কতা হিসেবে গ্ৰাসা ফ্রেইতাস একটি সাধারণ স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়েছেন যে উক্ত ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কারো যদি অবিরাম মাথাব্যথা, চামড়ার উপরে লাল হয়ে যাওয়া বা স্ট্রোক করার মতন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অতিসত্বর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

পর্তুগাল এই পর্যন্ত ২০ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৩ জন কে কমপক্ষে একটি কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ডোজ প্রদান করা হয়েছে দেশটীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০শতাংশ উপরে তবে এর মধ্যে সম্পূর্ণরূপে দুইটি ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৬ শতাংশ জনগণ।

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম। ২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি,  সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে। ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়। জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা