Saturday, এপ্রিল ২০, ২০২৪

লিটন আউট হওয়ার পর ফের ধস, কর্নওয়ালের ৫ উইকেট

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক: হতাশার মাঝে আশার আলো জ্বালিয়েছিল লিটন দাস আর মেহেদি হাসান মিরাজের জুটি।  ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ দলকে টেনে অনেকটা পথ নিয়ে গেছেন তারা। এরপর লিটন আউট হলে নামে ধস। শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২৯৬ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। কখনও মনে হয়েছে ২০০ রানও করতে পারবে না, কখনও আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে লিড নেওয়ার স্বপ্নও উঁকি দিয়েছে। বিশেষ করে, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি বড় আশা জাগিয়েছিল। তবে চাপের মধ্যে তাদের দারুণ দুটি ইনিংসের পরও ৩০০ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৩ রানে এগিয়ে থেকে শুরু করেছে দ্বিতীয় ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন লিটন দাস। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৭ ও মুশফিকুর রহীম ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছন। এর আগে ৪ উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে জিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে ক্যারিবীয়রা। তাই সিরিজ বাঁচাতে হলে এই টেস্ট জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। চা বিরতি থেকে ফিরেই কর্নওয়ালের জোড়া আঘাত। বিরতির আগে ৬ উইকেটে ২৭২ রানের স্কোর খানিক সময়ের ব্যবধানে হয়ে যায় ৮ উইকেটে ২৮১। এরপর দেখতে দেখতে ২৯৬ রানে অলআউট।

মুশফিকুর রহিম (৫৪) ও মোহাম্মদ মিঠুনের (১৫) বিদায়ের পর এলোমেলো বাংলাদেশের হাল ধরেন লিটন, সঙ্গী হিসেবে পান মিরাজকে। ফলোঅনের শঙ্কা জাগা দলকে টেনে তুলে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ইনিংস মেরামত করে অষ্টম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে গড়েন ১২৬ রানের জুটি। দুজন মিলে কাটিয়ে দেন পুরো এক সেশন। কিন্তু চা বিরতির পরপরই লিটন ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে।

কর্নওয়ালের বলে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৩৩ বলে লিটন খেলেছেন ৭১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১৩৩ বলের ইনিংসটি ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাজান ৭ বাউন্ডারিতে। তার আউটের ২ বল পরই ওই কর্নওয়ালের শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান নাঈম হাসান। এরপরও আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মিরাজ। চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান আরেকটি বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ফিফটি পূরণ করে। কিন্তু তিনিও ক্যারিবিয়ান এই ঝড়ের কবলে পড়েন। তাই আশার আলো নিভিয়ে ৫৭ রান করে গ্যাব্রিয়েলের বলে ফিরে যান সাজঘরে। ফেরার আগে ১৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৫৭ রান।

মিরাজের আউটের পরও ৩০০’র ঘর পেরোনোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাইজুল ইসলাম ও আবু জায়েদ রাহীর ব্যাটিংয়ে। তবে হয়নি, শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রাহী ১ রান করে আউট হয়ে যান। তাইজুল অবশ্য অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে। ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে উইকেট অক্ষত রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ সেশনের শুরুতেই আবার সব এলোমেলো। লিটনের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লোয়ার অর্ডার। ১৫ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ৩০০’র নিচে অলআউট করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাকিম কর্নওয়াল। ক্যারিবিয়ান স্পিনার ৭৪ রান দিয়ে পেয়েছেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ২টি শিকার আলজারি জোসেফের।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা