Thursday, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

চীনের হুশিয়ারী, তাইওয়ানকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : চীনের আপত্তি সত্বেও তাইওয়ানের কাছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ প্রস্তাবিত চুক্তিতে অ্যান্টি-শিপ এবং অ্যান্টি-এয়ার মিসাইল ট্র্যাকিং রাডার সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত মাসে তাইপেই সফরের পর অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানালো মার্কিন প্রশাসন। গত ২৫ বছরের মধ্যে ন্যান্সি পেলোসি মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যিনি তাইওয়ান সফর করলেন।

প্রস্তাবিত এই অস্ত্র প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের আরলি রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম এবং ৬০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলোর সম্মিলিত বাজারমূল্য ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। শত্রুপক্ষ থেকে যদি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, সেক্ষেত্রে তা ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরলি রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেমের মাধ্যমে তার সংকেত পাওয়া যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত মাসের শুরুতে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই অস্ত্র বিক্রির সংক্রান্ত প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল স্বায়ত্তশাসিত এই দ্বীপ ভূখণ্ডের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন ও পেলোসির মধ্যে।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এই বিক্রয় চুক্তি চুড়ান্ত হলো। মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, আমরা এই প্যাকেজ বিক্রির চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছি। কারণ, চীন-তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাইওয়ানের নিজস্ব নিরাপত্তারর জন্যই এখন এই প্যাকেজ জরুরি।

১৯৪০ সালের গৃহযুদ্ধে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয় তাইওয়ান। তারপর থেকে তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী রাজনীতিকরা নিজেদের স্বাধীন ও সার্বভৌম বলে দাবি করে আসলেও চীন এই দ্বীপ ভূখণ্ডকে এখনও নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। ৩৬ হাজার ১৯৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপ ভূখণ্ডের রয়েছে নিজস্ব সংবিধান, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্ব এবং প্রায় ৩ লাখ সক্রিয় সেনা সদস্যের একটি সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত অবশ্য খুবই অল্প কয়েকটি দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকলেও তাইওয়ানে এখন পর্যন্ত নিজেদের কোনো দূতাবাস খোলেনি দেশটি।

তবে তাইওয়ান বিষয়ক আইন ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’র আওতায় স্বাধীনতাকামী এ দ্বীপভূখণ্ডকে গত শতকের পঞ্চাশের দশক থেকেই সামরিক ও নিরাপত্তা সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা