ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃবর্তমান করোনা মহামারী একটি নতুন পরিস্থিতি তাই বর্তমান পরিস্থিতির তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সভাবিক অবস্থার তুলনা করা সম্ভব না। তবে ২০১৯ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭ টি দেশের গড় হিসেবে প্রতিটি দেশের বসবাসরত জনগণক তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করে এই দারিদ্রতার সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন নিদৃষ্ট দেশে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ২০ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বসবাসকারী অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ২৬ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের বসবাসকারীদের ৪৫ শতাংশ দারিিদ্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
তিনটি সূচক এর উপর ভিত্তি করে এই দারিদ্রতা ঝুঁকি নির্ধারণ করা হয় সূচক গুলি হল (১)নিম্ন আয় – অর্থাৎ পরিবারের সকল সদস্যদের নীট আয় সদস্য সংখ্যা অনুপাত অনুযায়ী গড় দেশের নির্ধারিত এমাউন্টের কম হয় তাহলে তাকে নিম্ন আয়ের হিসেবে ধরা হয়।
(২)জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় উপাদান এর অপর্যাপ্ততা – যদি কোন কারণে বাসা ভাড়া এবং পরিষেবা বিল পরিশোধে অক্ষম, শীতকালে ঘর গরম করতে না পারা, নিয়মিত প্রোটিন বা মাংস খেতে না পারা, ঘরে টেলিভিশন সেট না থাকা, গাড়ি না থাকা, টেলিফোন সেট না থাকা, কাপড় ধোয়ার মেশিন না থাকা এবং ছুটিতে বেড়াতে যেতে না পারা। এই উপাদানগুলো থেকে যদি কেউ কমপক্ষে তিনটি উপাদান না পায় তাহলে তিনি জীবনধারণের অপর্যাপ্ত উপাদান সূচকে বসবাস করছেন।
(৩) একই পরিবারে বসবাসকারী কম কর্মক্ষম ব্যক্তি – একই পরিবারে অন্যান্য কর্মসূচির তুলনায় একই বছরে তার কর্মক্ষমতার ২০ শতাংশের কম কাজ করেছেন এমন ব্যক্তি বা সদস্য।
ইইউ এর বাইরে দেশ থেকে আগত অভিবাসীরা সবচেয়ে বেশি দারিদ্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সুইডেন এবং গ্রিসে ৫৭ শতাংশ, ফ্রান্স এবং স্পেনে ৫৪ শতাংশ, পর্তুগালে প্রায় ৩২ শতাংশ।তবে দারিদ্র ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে চেক রিপাবলিক তাদের স্থানীয় জনগণ এরচেয়েও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরের দেশের অভিবাসীরা ভালো অবস্থানে রয়েছেন যদিও তাদের তিনটি জনগণের ক্যাটাগরি অর্থাৎ স্থানীয় ১২.৫ শতাংশ, ইইউ নাগরিক প্রায় ৯ শতাংশ (কমবেশি) এবং ইইউ এর বাইরের অভিবাসীগণ প্রায় ১০ শতাংশ (কমবেশি) একেবারে কাছাকাছি অবস্থানে।