ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় আঘাতে পর্তুগালে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সরকার নতুন করে পূর্বের আদলে জরুরি অবস্থা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তবে এই বেড়ে যাওয়াকে সরকারের নতুন বছর এবং বড়দিনের উৎসব কে দায়ী করছেন পূর্বের মতো জনগণ নিজেদের সংবরন করতে পারেনি বরং পারিবারিক উৎসবে নিজেদের সচেতনতা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিল তার ফলেই এই চিত্র।
আগামী ১৫ জানুয়ারি রাত বারোটা থেকে ৩০ শে জানুয়ারি পর্যন্ত সেই গত ২০২০ সালের প্রথম জরুরি অবস্থার আদলে আবারো সেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
-
সকল ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বিউটি পার্লার, সেলুন ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।
-
রেস্টুরেন্ট, পানশালা, কফি শপ বন্ধ থাকবে তবে হোম ডেলিভারি দেয়া যাবে অর্থাৎ রেস্টুরেন্টে বসে গ্রাহকরা খাবার খেতে পারবে না বা পরিবেশন করা যাবে না।
-
ফার্মেসি এবং এ সম্পর্কিত ক্লিনিক খোলা থাকবে।
-
সুপার মার্কেট, মিনি মার্কেট অর্থাৎ মানুষের এবং পশু খাদ্য তথা হাইজিন পণ্য বিক্রি কারী প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং পূর্বের খোলা বন্ধের নিয়ম বলবৎ থাকবে। ১০০ বর্গ মিটারে ৫ জন গ্রহণযোগ্য হবে।
-
সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং আলাদা স্বাস্থ নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে।
-
সকল ধরনের পাবলিক সার্ভিস সেবা চালু থাকবে তবে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে যেতে হবে পূর্বের মত।
-
বিচারিক আদালত খোলা থাকবে।
-
জিমনেসিয়াম এবং বিভিন্ন খেলাধুলা ও শরীরচর্চা মূলক পরিচালনা করা যাবে তবে দর্শক বিহীন ভাবে।
-
ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধি নিষেধ ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন বিষয়সমূহ বজায় রেখে ভ্রমণ চালু থাকবে।
-
টেলি ওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
-
সকল প্রতিষ্ঠানে বন্ধ থাকবে তাদের কর্মচারী কর্মকর্তা লে অফের মাধ্যমে বেতন পাবেন।
জনগণকে বাধ্যতামূলক ঘরে অবস্থান করতে বলেছেন এবং ব্যতিক্রম ঘটলো বড় ধরনের জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে। এবং প্রতিনিয়ত ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক নজরদারি করবেন।