জাকির হোসাইন চৌধুরীঃ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে ২৫৫ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে একটি গ্রামে “নেয়া মানোলাদায়” বোরহান উদ্দিন খোকন নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।আনুমানিক বয়স ২০ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । তার বাবার নাম সোফাত আলী এবং মায়ের নাম সাইফুন্নেছা ।বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার অধীনে নরসিংহপুর গ্রামে।
সে বিগত এক বছর যাবৎ গ্রিসে বসবাস করছিলেন এবং মাত্র তিন মাস আগে কাজের সন্ধানে মানোলাদায় যান। তার সহকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায় যে মানোলাদার দুম্বা মাঠের পাশে মাল ভাই নামের এক বাংলাদেশি মাস্তুরা বা সুপারভাইজারের অধীনে পারাংগা নামক ঘরে থাকতো।গতকাল সকালে সবাই কাজে গেলেও সে কাজে যায়নি।তার সহকর্মীরা কাজ থেকে এসে তাকে বাসায় না দেখে তারা কয়েকবার ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
তার ঘন্টা খানেক পর তার মৃতদেহ বাসা থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার এক পাশে জংগলে পাওয়া যায়।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে । ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার লাশটি বর্তমানে “পাত্রা ‘র হিমাগারে সংরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছেন তার ভগ্নিপতি জনাব জাকির হোসেন ।
মৃত্যুর রহস্য নিয়ে কেউ কিছু খোলাসা করে বলতে পারছে না।প্রত্যেকদর্শীরা জানিয়েছেন তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে ছেলেটির মুখ সহ পুরো শরীর কালো হয়ে আছে। পুলিশের পোস্টমোর্টেম রিপোর্ট থেকে আরো নিশ্চিত করে বলা যাবে ,তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্নহত্যা বলে ধারণা করছেন। নেয়া মানোলাদা থানায় সরকার বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
তার শারীরিক কোন সমস্যা বা সে করোনা আক্রান্ত ছিলেন না ।পুলিশ এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সেলিম নামে উনার এক আত্নীয় ।তিনি আরো জানান তার মৃত্যুর সংবাদে বাংলাদেশে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া বিরাজ করেছে। তার মৃত্যুর সঠিক রহস্য জানার জন্য স্থানীয় পুলিশ কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় বাংলাদেশ দূতাবাসসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
এই রমজান মাসে তার মৃত্যুতে পুরো বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সকল প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ।