করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৬০ দিনের জন্য স্থায়ী অভিবাসন বন্ধ করেছেন। গ্রিন কার্ডের আবেদনকারীসহ যারা এর মধ্যে ভিসা আবেদন করেছেন অথবা আবেদন অনুমোদন হয়েছে তারাও আপাতত ৬০ দিনের জন্য আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
হোয়াইট হাউজে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন বুধবার নির্বাহী আদেশটিতে তিনি স্বাক্ষর করবেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন , আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মজীবীদের আগে দেখভাল করতে হবে। বাইরের দেশ থেকে আসা কর্মীদের করোনাভাইরাসের কারণে বেকার হওয়া প্রতিযোগিতায় যাতে পড়তে না হয় এর জন্য প্রেসিডেন্ট এ উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। নির্বাহী আদেশটি প্রকাশিত হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর যেকোন রাজনৈতিক বিপর্যয়ে ইমিগ্রেশন ইস্যুকেই সামনে নিয়ে এসেছেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি ট্রাভেল নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন কিছু দেশ থেকে আসা লোকজনের উপর।
তাঁর একের পর এক ইমিগ্রেশন বিরোধী পদক্ষেপ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আদালতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিবাচক আদেশও পেয়েছেন।
কংগ্রেসের স্থায়ী আইন প্রণয়ন ছাড়া আমেরিকার পারিবারিক ইমিগ্রেশন বন্ধ করতে পারবেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের জন্য নিজের শ্বেতাঙ্গ সমর্থকদের চাঙ্গা রাখার জন্য আবারো এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এবারে মহামারী ও জরুরি অবস্থার সুযোগ নিয়ে আগামী দুই মাসের জন্য ইমিগ্রেশন বন্ধের নির্দেশ জারি করছেন। ট্রাম্প বলেছেন , দুই মাস পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি পরের সিদ্ধান্ত নেবেন। অভিবাসন আইনজীবীরা বলছেন, দুই মাসের মধ্যে আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়াবার কোন সুযোগ নেই।
করোনাভাইরাসের কারণে কয়েক লক্ষ কর্মহীন মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছে। বেকারভাতা চার মাস করে দেয়া হবে বলে আগেই কংগ্রেস আইন প্রণয়ন করে। প্রথম দফা ৬০ দিনের পর ট্রাম্প আবারও এ নির্বাহী আদেশের মেয়াদ বাড়াবেন বলেই অভিবাসী আইনজীবীরা মনে করেন এবং এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গেস্ট ওয়ার্কার , স্বাস্থ্যকর্মীসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রকে আওতার বাইরে রেখে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে ট্রাম্প বলেছেন। সবাই আদেশটির বিস্তারিত পাওয়ার অপেক্ষা করছেন। এর মধ্যে যাদের ভিসা দেয়া হয়েছে, যাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াধীন আছে তাদের উৎকণ্ঠিত না হয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।