Friday, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

পর্তুগালে সোমবার থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল হচ্ছে

ডেস্ক রিপোর্টঃপূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্তুগালে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতে চলেছে।  গত ১লা এপ্রিল পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টোনিও কস্তা জাতির উদ্দেশ্যে বিস্তারিত তুলে ধরেন তবে নতুন বছরে শুরুটা পর্তুগালের জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না কেননা গত ২০২০ সালে শুরু হওয়া সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল জানুয়ারি ২০২১ মাসে। জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি বস্তুত পুরো দেশ অবরুদ্ধ হয়ে যায় ।

চলুন জেনে নিই ৫ এপ্রিল থেকে কি কি শিথিলতা রয়েছে:

  • রাস্তার সাথে মূল দরজা সংযুক্ত ২০০ বর্গমিটার এর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান,
  • প্রাথমিক স্তরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সার্কেলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ,
  • ডে কেয়ার সেন্টার ,
  • প্রতিবন্ধীদের সামাজিক সুবিধা কেন্দ্র,
  • কফিসপ ও রেস্টুরেন্ট (বহিঃপ্রাঙ্গণ এ প্রতি টেবিলে একটি গ্রুপে সর্বোচ্চ  ৪জন) যখন খাবার গ্রহণ করবেন তখন মাস্ক খুলতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
  • মেলা এবং অস্থায়ী বাজার গুলি নির্দিষ্ট মিউনিসিপ্যালিটির অনুমোদনক্রমে খাবার সামগ্রী ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করতে পারবে।
  • শারীরিক স্পর্শ ছাড়া সকল খেলাধুলা কার্যক্রম এবং বহিরঙ্গনে  সর্বোচ্চ ৪ জন,
  • শরীর চর্চা কেন্দ্র তবে কোন গ্রুপ সেশন থাকতে পারবেনা,
  • জাদুঘর , স্মৃতিসৌধ ,প্যালেস , বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনী
  • সুপার মার্কেট এবং মিনি মার্কেটে যথারীতি স্বাভাবিক থাকবে ।

১৯টি সিটি কর্পোরেশনের জন্য কেননা সরকার নির্ধারিত মানদণ্ডে ১৪ দিনে গড়ে প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে নির্ধারিত সংক্রমণ সীমা অতিক্রম করেছে বিধায় উক্ত অঞ্চলগুলোতে বর্তমান বিধি নিষেধ বজায় থাকবে  এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি বসবাসরত এবং পর্যটন অধ্যুষিত  অঞ্চল হচ্ছে আলবুফেইরা , বেজা , লাগোয়া , ফিগোইরা দা ফজ উল্লেখযোগ্য।

প্রধানমন্ত্রী পর্তুগিজ জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বলেন “আমি ধন্যবাদ জানাই সকল পর্তুগিজ নাগরিককে যারা ত্যাগ স্বীকার করে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ পালন করেছেন যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ব যেখানে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করছে আর আমরা স্বাভাবিক জীবনের দিকে ফিরে যাচ্ছি যা আমাদের জন্য গৌরবের”।

উল্লেখ্য যে পর্তুগালে বর্তমানে জরুরি অবস্থা বিরাজ করছে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তা অবস্থা থাকবে তবে গত ১১ ই মার্চ পর্তুগিজ সরকার স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপে ১৫ ই মার্চের পর ৫ ই এপ্রিল থেকে এই দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন শিথিল হতে চলেছে এবং বর্তমানের ন্যায় করোনা সংক্রমণ স্থিতিশীল থাকলে  ১৯শে এপ্রিল ৩য় ধাপে এবং ২রা মে থেকে ৪র্থ ধাপে পর্তুগিজ জনগণ নতুন প্রচলিত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে ।

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম। ২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি,  সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে। ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়। জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা