Saturday, এপ্রিল ২০, ২০২৪

গত এক বছরে ইউরোপে বাংলাদেশী ৮০৫৫ নাগরিকত্ব পেয়েছেন ।

ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি ইউরোপে পাড়ি জমান এদের বেশিরভাগই কোন একটি দেশে বসবাস করার সুযোগ পান এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর সে দেশে নাগরিকত্ব লাভ করতে পারেন ইইউর হিসেব অনুযায়ী ২০১৯ সালে ইইউ ২৮(যুক্তরাজ্য সহ) টি দেশে সর্বমোট নাগরিকত্ব পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক।

ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৭ শত ৮০ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন যুক্তরাজ্যে(বর্তমানে ইইউর বাইরে), দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালিতে ১ হাজার ৫ শত ৪১ জন, তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্তুগালে ৬ শত ২৯ জন, ফ্রান্সে ৫৩৩ জন স্পেনে ৪২৮ জন, জার্মানিতে ২২৫ জন এবং বেলজিয়ামে ৯৭ জন সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক ইইউর নাগরিকত্ব লাভ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট বন্ধের লক্ষ্যে প্রশাসনের বিশেষ ফোর্স গঠন

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে, প্রথম অবস্থানে ভারত ২৭,৭৬৫ জন এবং অতঃপর পাকিস্তান ২৩,৮৯০, শ্রীলঙ্কায় ৭,৪০০ জন নাগরিক ইউরোপের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন সে ক্ষেত্রে হলো বাংলাদেশের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে মালদ্বীপ ইইউ এর নাগরিকত্ব পেয়েছেন মাত্র ১৬ জন।

পূর্ববর্তী ৫ বছরের সাথে একটু হিসাব করে দেখা যায় ইইউতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সংখ্যা দিন দিন কমছে ২০১৪ সালে ১১,১৬২ জন, ২০১৫ সালে ১১,৬৩৭ জন, ২০১৬ সালে ১৫,৪৮৬ জন, ২০১৭ সালে ৯,৭১২ জন , ২০১৮ সালে ৭,৮১২ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সামান্য কিছু বেশি হলেও পূর্ববর্তী বছরগুলোর থেকে অনেক কম।

তবে ইউরোপে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০১৯ সালে ৭ লক্ষ ৬ হাজার জন মানুষ নাগরিকত্ব লাভ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশগুলোতে সেই হিসেব করলে বাংলাদেশের নাগরিকদের নাগরিকত্ব লাভের হার মোট সংখ্যা হিসেবে মাত্র ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, প্রতিনিয়তই ইউরোপের দেশগুলোর ইমিগ্রেশন এবং নাগরিকত্ব আইনের পরিবর্তন এর কারণে দীর্ঘসূত্রিতা সহ ইউরোপ সীমান্তে কঠোরতা কারণে অভিবাসীদের আগমন কম হয়েছে। তাছাড়া বিংশ শতকের শেষ অংশে ইউরোপের অর্থনৈতিক ধসের কারণে বৈধ কাগজপত্র কাজ জোগাড় করতে না পারায় অনেক বাংলাদেশি দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হয়েছেন।

ইউরোপ বাংলার অন্যান্য সংবাদঃ

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম। ২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি,  সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে। ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়। জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা