ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত দুই মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈন মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন। তারা হলেন ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (আপ) দুই নেতা।
মনীশ সিসোদিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে এবং অবিলম্বে জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানান, এই আবেদন হাইকোর্টেই করতে হবে। তারা কোনো নজির তৈরি করতে চান না। হাইকোর্টের পর তাদের কাছে আসতে হবে। হাইকোর্ট আগেই সিসদিয়াকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন সিসোদিয়া। সেই সঙ্গে সত্যেন্দ্র জৈনও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা এ দুই আপ নেতার পদত্যাগপত্র ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সত্যেন্দ্র জৈনও দুর্নীতির অভিযোগে গত আট মাস ধরে জেলে আছেন। কিন্তু তিনি এত দিন মন্ত্রী ছিলেন। সিসোদিয়া মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পদত্যাগ করেছেন।
সিসোদিয়ার হাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মোট ১৮টি মন্ত্রণালয় ছিল। সবচেয়ে বেশি দপ্তর ছিল তার হাতে। এখন এই দপ্তরগুলো বণ্টন করতে কেজরিওয়াল নতুন দুইজন মন্ত্রী বেছে নিতে পারেন। রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করাটা এখন কেজরিওয়াল সরকারের কাছে বড় কাজ। বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলার সময় সাধারণত মন্ত্রিসভায় রদবদল হয় না। তাই নতুন মন্ত্রীদের অবিলম্বে নিয়োগ করতে পারেন তিনি। তা না হলে বাজেট অধিবেশনের পর তা করতে হবে।
সিসোদিয়াকে সিবিআই গ্রেপ্তার করার পরই বিজেপি তার মন্ত্রী থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল। তারা এটাও জানিয়েছিল, এখন কেজরিওয়াল এবং আপকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সিসোদিয়া মন্ত্রী থাকবেন কি না। কেজরিওয়াল সব সময় পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত সরকারের কথা বলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবেই তিনি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন। ফলে তার মন্ত্রিসভায় দুর্নীতির দায়ে দুই মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের পদত্যাগ নিয়ে চাপ বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা পদত্যাগ করলেন।