ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। দেশের অনেক অঞ্চলেই সোমবারের আগে থামছে না বৃষ্টি। ইতেমধ্যে দেশের ১০টি নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বিপত্সীমার কাছাকাছি বা ওপরে থাকতে পারে। গতকাল শুক্রবার বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।
সারা দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এই ধারা আগামী সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ প্রবল বিজলি চমকানো এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এ ছাড়া সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাত কমতে পারে।
এদিকে বৃষ্টিপাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও কমেছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নেত্রকোনা ও সীতাকুণ্ডে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সন্দ্বীপে, ২৬১ মিলিমিটার।

































