ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃপর্তুগালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে গেলে একটু কমই বলা হবে কেননা সাগর, নদী, পাহাড় এবং সবুজ বনানী সমৃদ্ধ এক অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ । তার সাথে আছে ইউরোপিয়ান স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন সমূহ। ইতিহাস বিবেচনা করলে দেখা যায় ঐতিহাসিক ইতালির রোম শহর থেকে পুরনো শহর পর্তুগালের রাজধানী লিসবন। সঙ্গত কারণেই পর্তুগাল ইউরোপিয়ান পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। মহামারী সবকিছু থামিয়ে দিয়েছে তবে আগামী মে মাসে পর্তুগালের পর্যটনের দরজা খুলছে।
যুক্তরাজ্যের সাথে পর্তুগালের স্বাভাবিক ভ্রমণ যোগাযোগের বিষয়ে আলাপকালে পর্তুগালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি রিতা মার্কেস ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী মে মাস থেকে যে সকল ব্যক্তি পুর্ন ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা পর্তুগালের ভ্রমণ করতে পারবেন।
আগামী ১৭ ই মার্চ ইউরোপিয়ান কমিশন একটি কোভিড-১৯ ডিজিটাল ফ্রী পাস তৈরির জন্য একটি আইনি প্রস্তাব উপস্থাপন করতে যাচ্ছে যাতে টিকা গ্রহণকারী এবং যারা করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন এবং ভ্রমণের পূর্বে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট উপস্থাপন করবেন তাদের ভ্রমণে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবেনা। এই প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ভ্রমণে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবেনা এবং সকলের জন্যই তা নিরাপদ হবে।
পর্যটন মৌসুমে এমনকি সারা বছর ব্যাপী বিপুল সংখ্যক ব্রিটিশ পর্যটক পর্তুগাল ভ্রমণে আসেন পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০ সালে মোট পর্যটক এর প্রায় ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে এসেছেন তবে তা মহামারীর কারণে গত বছরের তুলনায় ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ কম। তাছাড়া পর্তুগালের আলগার্ভ নগরীতে যুক্তরাজ্যের অনেক নাগরিকের বসবাস অপরদিকে অবকাশ যাপনের জন্য সেকেন্ড হোম হিসেবে তাদের বাসস্থান রয়েছে।
সম্ভবত আগামী মাস থেকে বর্তমানে বন্ধ থাকা যুক্তরাজ্যের সাথে পর্তুগালের বিমান যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে তবে পহেলা মে থেকে যুক্তরাজ্য থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন ব্যক্তি পর্তুগালে আসলে তার কভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে না। তবে বর্তমানে পর্তুগিজ নাগরিকগণ সীমিত আকারে পর্তুগালের ভ্রমণ করতে পারছেন।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারির বক্তব্য মহামারীর কবলে ভেঙে পড়া পর্যটন খাত আশার আলো দেখছে, অনাকাঙ্ক্ষিত কোন পরিস্থিতি না হলে মে মাস থেকে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক পর্তুগালে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে এবং পর্তুগালের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে যার প্রেক্ষিতে পর্তুগালের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সাথে সাথে এখানে বসবাসরত পর্যটন খাতে জড়িত ৯৫% প্রবাসী বাংলাদেশীর মুখে আবারও হাসি ফিরে আসবে ।
অন্যান্য সংবাদঃ