Thursday, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

পর্তুগালে রাতে এবং ছুটির দিনে দুপুর থেকে কারফিউ

ইউরোপবাংলা ডেস্কঃ  পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মধ্যরাত পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ৯ নভেম্বর থেকে ২৩ শে নভেম্বর পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেন এবং গৃহীত পদক্ষেপগুলো সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সে মোতাবেক পূর্বঘোষিত ১২১ টি মিউনিসিপ্যালিটিতে প্রতিদিন রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে, এবং ছুটির দিনে দুপুর ১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। এই সময়ে নির্দিষ্ট জরুরি কারণ ছাড়া রাস্তায় চলাচল করা যাবে না। এটি কার্যকর হবে আগামী ৮ই নভেম্বর মধ্যরাতের পর থেকে অর্থাৎ ৯ ই নভেম্বর রাত বারোটা থেকে।

উত্তর জরুরি অবস্থার মধ্যে কাজে যোগদান, পারিবারিক সহযোগিতা, ফার্মেসি অথবা স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ সহ জরুরী যে সকল স্বাভাবিক কার্যকলাপ আছে এগুলোর ক্ষেত্রে কোন প্রকার জটিলতা হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যেহেতু রেস্টুরেন্ট রাত ১০.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সেহেতু সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আরোপিত কারফিউ এর মধ্যে খাবারের ডেলিভারি চালু থাকবে। রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন করা যাবে না.

প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমনের বাহনের একটি ছকের বিশ্লেষণ প্রদান করেন এতে তিনি ব্যাখ্যা করেন, ৬৮% সংক্রমণ পরিবার থেকে, ১২% কর্মসংস্থান থেকে, ৮% বৃদ্ধাশ্রম/দুস্ত সেবা কেন্দ্র, ৩% বিদ্যালয়, ১% সামাজিক এবং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থেকে সংক্রমিত হচ্ছে। সুতরাং পারিবারিক চলাচল কিছুটা রোধ করা গেলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।

আগামী ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের উৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে, এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য এবং উৎসবের আয়োজন সার্থক করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এই জরুরি অবস্থা, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বড়দিনের উৎসব আমাদের জন্য কেমন তা আমরা জানি সুতরাং আমাদের পরিস্থিতি উপলব্ধি করে আমাদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যাতে সংক্রমণ রোধ করা যায়।

আরও খবর পড়ুন: 

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম। ২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি,  সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে। ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়। জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা