ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ পর্তুগালএবং যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্ব বহুদিনের আর এই বন্ধুত্ত্ব আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং ঐতিহ্যের আদান-প্রদানের কারণে আরও বেশি শক্ত ও মজবুত হয়েছে দিনে দিনে, সঙ্গত কারণেই পর্তুগিজ এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের উভয় দেশের নাগরিকদের আনাগোনা বেড়েছে এরই প্রেক্ষাপটের প্রায় প্রতি বছর ২.৫ মিলিয়ন এর বেশি ব্রিটিশ পর্যটক পর্তুগাল ভ্রমণ করে।
মহামারীর কারণে প্রথম পর্যায়ে গত ৮ই জুন যুক্তরাজ্য পর্তুগালকে অনিরাপদ দেশ হিসেবে সংযোজন করলেও গত ২০ই আগস্ট অনিরাপদ তালিকা থেকে নিরাপদ দেশের তালিকায় স্থান দেয়।।
২০ই আগস্ট ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন তালিকা থেকে অবমুক্ত করার পরে বিপুল পরিমাণ ব্রিটিশ পর্যটক পর্তুগালে ছুটি কাটানোর জন্য হোটেল রিজার্ভেশন করে এবং পর্তুগালের পর্যটন নগরীতে ইউরোপের অন্যতম জনপ্রিয় এয়ারলাইনস রাইয়ান এয়ার কোভিড-১৯ এর কারণে সংকুচিত ফ্লাইট সংখ্যা পুনরায় বাড়াতে বাধ্য হয়। স্থানীয় হোটেল এবং গেস্ট হাউজের পরিসংখ্যান মতে আলগার্ভ এরিয়া তে তবে থেমে যাওয়া বুকিং সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এর জন্য ৫০ শতাংশ রিজার্ভেশন হয়।
গত কয়েকদিন যাবত যুক্তরাজ্যের কোয়ারেন্টাইন তালিকায় পর্তুগালের সংযোজনের বিষয়ে আশঙ্কা থাকলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য সরকার তা নাকচ করে তবে আজ ১০ ই সেপ্টেম্বর পুনরায় পর্তুগালকে যুক্তরাজ্য তাদের দেশের জনগণের ভ্রমণের জন্য অনিরাপদ দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। অর্থাৎ কেউ যদি পর্তুগাল ভ্রমণে যায় তাহলে তাকে ফিরে ১৪ দিনের হোম কোরেনটাইন পালন করতে হবে, অন্যথায় জেল জরিমানা ভোগ করতে হবে। তবে পর্তুগালের দ্বীপ অঞ্চল ফুটবল জাদুকর রোনালদোর শহর খ্যাত মাদেইরা ও পর্তুগালের মায়াবী কন্যা খ্যাত আজোরস ভ্রমণে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তের ফলে পুনরায় পর্তুগাল পর্যটন শিল্পে হলে বাতাস লাগা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে এবং হোটেল রিজার্ভেশন সহ ফ্ল্যাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে কেননা ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হলে অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করতে পারেন।
আরও খবর পড়ুন: