ইউরোপবাংলা ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে পুলিশ হেফাজতে একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের পথে পথে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে তবে কিছু কিছু অঞ্চলে লুটপাট, ভাঙচুর , অগ্নিকাণ্ড ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, পুলিশের উপর আঘাত পাল্টা আঘাত জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
এমতাবস্থায় উক্ত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর একটি পোস্ট এর বিরুদ্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না নেওয়ায় ফেসবুকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রতিবাদে নামেন।
শুক্রবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি টুইটার এবং ফেসবুকে পোস্ট করেছেন যে সামরিক শক্তি দিয়ে প্রতিবাদকারীদের জবাব দেওয়া হবে এবং বলেছিলেন যখন লুটপাট শুরু হবে তখন গুলি শুরু হবে।
টুইটার উক্ত পোস্টকে পলিসি ভঙ্গের দায়ে ওয়ার্নিং করলেও ফেসবুক কোন সাড়াশব্দ করেনি, এমতাবস্থায় ফেসবুক কর্মীরা সিইও মার্ক জুকারবার্গ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবংঅনলাইন ধর্মঘট করেন তারা বলেন সিইওকে পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার জন্য।
গত শুক্রবার মার্ক জুকারবার্গ প্রেসিডেন্টের পোষ্ট সম্পর্কে ফেসবুকের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি বলেছিলেন- “এখানে ঐতিহাসিক ঝামেলা যুক্ত রেফারেন্স রয়েছে, ফার্ম পলিসির ক্ষেত্রে এটা পড়ুন রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ এর সর্তকতা হিসেবে এবং জনগণকে জানতে হবে যে সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করছে”
সবাই এ বিষয়ে একমত যে মানুষের ভেদাভেদ কখনই কাম্য নয় এবং এরকম একটি ঘটনা নিয়ে পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তাও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে সঠিক নয়। তবে বর্তমান পেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য মানুষের মনে আরো বেশি ক্রোধের সৃষ্টি করছে। মার্কিন জনগণ এবং বিভিন্ন প্রভিন্সের গভর্নর গন রাষ্ট্রপতি কে সংযত ভাবে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন। ফেসবুক কর্মচারীদের এই পদক্ষেপ সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সুত্রঃ এএফপি
ইউরোপবাংলা/ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারী
