ইউরোপবাংলা ডেস্কঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রে ক্রমান্বয়ে লকডাউন তুলে দিচ্ছে, পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে তবে কিছু কিছু দেশের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সীমানা খুলে দেয়া হয়নি। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে ইউরোপের অন্তরে ভ্রমণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি পূর্ব প্রস্তুতি না থাকলে এক ধরনের জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়
এমতঅবস্থায় আপনি কিভাবে ভ্রমণ করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর একটি নিয়মকানুন প্রবর্তন করেছে, চলুন ধাপে ধাপে জেনে নিই নিয়ম কানুন এবং সতর্কতা গুলো:
কিভাবে টিকেট বুকিং করবেন:
অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট বুকিং করতে পারেন, এক্ষেত্রে টিকিট বুকিং মেশিন, ট্রাভেল এজেন্ট সরাসরি না গিয়ে অনলাইনে বুকিং সম্পন্ন করতে পারেন।
ভ্রমণ শুরু করার সময়:
মেশিন এড়িয়ে পূর্বে অনলাইনে চেক ইন করুন
বিমানসংস্থার নির্দেশনার সময়ের পূর্বে উপস্থিত হন এবং দেড় থেকে 2 মিটার নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
এয়ারপোর্ট, স্টেশন বা বন্দরে আপনাকে মাস্ক পড়তে হবে।
ছবি – সানতোরিনি, গ্রিস
ভ্রমণের সময়:
আপনাকে মুখে মাস্ক পড়তে হতে পারে
আপনি যদি পরিবার ছাড়া একা ভ্রমণ করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে অন্যান্য যাত্রীদের থেকে আলাদা বসতে হতে পারে।
আপনাকে হয়তোব পেছন দরজা দিয়ে আরোহন করতে হতে পারে।
বিমানের অভ্যন্তরে আপনি কোন প্রকার খাবার বা পানি ক্রয় করতে পারবেন না এবং যতটা সম্ভব আপনার আসন এর চারপাশে হাতের স্পর্শ থেকে বিরত থাকতে হবে।
যখন হোটেলে উঠবেন:
গেস্ট এর জন্য তথ্যগুলো ভালো করে পড়ে নিন
আশেপাশের কমন স্পেস এর সাথে দেড় থেকে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।
অন্যান্য সাধারণ সংক্রমণ প্রতিরোধক ব্যবস্থা যেমন: হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন বা কোন কাজ করে মুখ আড়াল করে নিবেন, প্রতিনিয়ত হাত জীবাণুমুক্ত রাখবেন সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে বা অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে।
ফেস মাস্ক ব্যবহার করবেন।
ভ্রমণ সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে:
যখন আপনার ব্যাগের সংগ্রহ করবেন তখন অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখবেন
আপনার ভ্রমণ শেষ হওয়ার পর যদি আপনার ভ্রমণ সঙ্গী ভ্রমণকালীন সময়ে যার সাথে আপনার যোগাযোগ হয়েছে তার যদি করোনাভাইরাস ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে আপনি সচেতন থাকবেন এবং সংক্রমণ রোধে সহায়তা করবেন। তবে এ বিষয়টি সম্ভবত মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে হতে পারে , তবে এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা অক্ষুন্ন থাকবে।
পরিবহন সংস্থা দ্বারা যাত্রা বাতিল করা হলে:
আপনি টিকিটের অর্থ ফেরত নিতে পারেন বা নতুন টিকেট নিতে পারেন।
আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম।
শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম।
২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি, সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে।
ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়।
জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।
This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy. I Agree
ধন্যবাদ ভাই। অতি জরুরী কিছু ইনফরমেশন তুলে ধরার জন্য। ভ্রমণ প্রিয় মানুষেরা আপনার এই পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হবে এবং অনেক কিছু জানতে পারবে।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।