ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই কথাটির উপর আস্থা রেখেই পর্তুগালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য শিক্ষক এবং কর্মচারীদের জন্য কভিড-১৯ রেপিড টেস্ট এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রধান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।উচ্চ করোনা সংক্রমনের কারণে দুই মাসব্যাপী কঠিন জরুরি অবস্থার পর গত ১৫ ই মার্চ নার্সারি এবং প্রাথমিক প্রথম সার্কেলের শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হয় এবং আগামী ইস্টারের ছুটির পর ৫ ই এপ্রিল থেকে খোলা হবে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সার্কেলের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইতিমধ্যে নার্সারি এবং প্রথম সার্কেলের সকল শিক্ষক কর্মচারী মিলিয়ে ৮২ হাজার জনকে প্রথম সপ্তাহে রেপিড টেস্ট করানো হয় এবং এদের মধ্যে মাত্র ৮০ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। উক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত তাদেরকে প্রতি সপ্তাহের কভিড-১৯ রেপিড টেস্ট করানো হবে।
অন্যদিকে আজ বুধবার ২৪ শে মার্চ থেকে পর্তুগালের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে টিকা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এসএমএসের মাধ্যমে সময় এবং টিকা সেন্টারের ঠিকানাসহ যোগাযোগ করা হবে। এসএমএস গ্রহণ করার ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার এর মধ্যে হ্যাঁ অথবা না এর মাধ্যমে উত্তর দিতে হবে। আগামী সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে তাদেরকে টিকা প্রদান করা হবে।
পর্তুগালের করোনার ভ্যাকসিনের টাস্কফোর্স আশা প্রকাশ করছে সবিক টিকা কার্যক্রমের পাশাপাশি এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে প্রায় দুই লক্ষ আশি হাজার শিক্ষক-কর্মচারীদের কে ভ্যাকসিন প্রদান করতে সক্ষম হবে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমকে স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে বরাবরই পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী অন্তনিও কষ্টা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন । গত জানুয়ারি মাসে উচ্চ করোনা সংক্রমণ হারের মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য তাকে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অতঃপর গত ১১ ই মার্চ জরুরি অবস্থার নতুন লকডাউন বিধিমালায় সর্বপ্রথম যে বিষয়টি তিনি অন্তর্ভুক্ত করেছেন তা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং স্বাভাবিক রাখার জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা যা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে পর্তুগালের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।