Thursday, মার্চ ২৮, ২০২৪

সুইস ব্যাংকে কত জন বাংলাদেশীর টাকা পড়ে আছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

ডেস্ক রিপোর্টঃ  বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার ও দুদকের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১৪ হাজার দ্বৈত নাগরিকের তথ্য জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৩০ মার্চ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ, দুদক ও ব্যাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের জানাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটের শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি আ্যটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দীন মানিক শুনানি করেন।

রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস শুনানি করেন।

সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করা হয়।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদী চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এই ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়।

গত রোববার রিটের শুনানি শুরু হয়। পরে এ রিটের শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

ইউরোপ বাংলার আরও সংবাদঃ

ইউরোপ বাংলা

ইউরোপ বাংলা

একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার, ব্লগার, এডুকেশনাল কনসালট্যান্ট, ক্যারিয়ার কাউন্সিলর, উদ্যোক্তা।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা