ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ নির্ধারিত সময়ে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে না পারার কারণে চায়নিজ ছাত্রীকে কারাদণ্ড দিয়েছে ডেনমার্ক পুলিশ।
জু নামের এক ছাত্রীকে ডেনমার্ক কারাদণ্ড দিয়েছে ডেনমার্কের করুনার কারণে ভিসার মেয়াদ সময়মত বাড়াতে না পারার কারণে চাইনিজ ঐ ছাত্রী কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি অধ্যায়নরত ছিলেন এনভাইরনমেন্ট এন্ড ডেভেলভমেন্ট স্টাজিজ নিয়ে। আগামী বছরের জুলাই মাসে তার গ্রাজুয়েশন শেষ হয়নার কোথা ছিল কিন্তু গত বছর ডিসেম্বারে তা স্থগিত করা হয়েছিল। । নিজের খেয়াল ছিলনা করুনার কারণে তার ভিসার মেয়াদ ডিসেম্বরের 31 তারিখ পর্যন্ত ছিল যার কারণে তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলে তিনি ভিসার মেয়াদ চলে যাওয়ার ফলে তিনি ডেনমার্কে অবস্থান করছিলেন অভিবাসী হিসেবে। ভিসার মেয়াদ চলে যাওয়ায় তাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। তাকে দীর্ঘ এক মাস কারাভোগের পর ডেনমার্কের একটি হসপিটালে এবং তারপর রিফিউজি সেন্টারে রাখা হয়। অবশেষে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ঐ ছাত্রীকে।
ওই ছাত্রীর ডিসেম্বর ৩১ তারিখে 2020 শেষ হয়ে যায় এবং পূর্বে তার যাবে আর মাত্র একদিন তিনি তড়িঘড়ি করে ড্যানিশ ইমিগ্রেশন সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট এর সাথে কথা বলেন এবং তার তিনি প্রসেসিং ফি বাবদ নির্ধারিত টাকা করেন কিন্তু তিনি কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি থেকে তার স্টেটমেন্ট নিতে পারেননি তার গ্রাজুয়েশনের ব্যাপারে।
জু আরও বলেন আমি কন্টাক করার চেষ্টা করেছি মেইল এবং ফোন কলের মাধ্যমে ডেনিশ ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এর সাথে কিন্তু ফেব্রুয়ারি 11 তারিখ পর্যন্ত তারা আমাকে কোন ইমেইল এর উত্তর দেয় নি যার ফলে সে পুলিশকে কল করে তার সিচুয়েশন সম্পর্কে জানায় নিচ থেকে।
জু তার স্টুডেন্ট হল রুম গত 5 ই জানুয়ারি অ্যারেস্ট তারিখে অ্যারেস্ট হয এবং ভেস্ট্রে ফাঙ্গেসেল কারাগারে ১ মাস কারাভোগ শেষে
কোপেনহেগেনের একটি হাসপাতালে সাইকোলজিস্টের শরণাপন্ন হন। কিছুদিন হসপিটালে থাকার পর ডেনমার্কের একটি রিফিউজি ক্যাম্পে রাখা হয় পরে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি চায়নিজ এই ছাত্রী তার ফেইসবুক পোস্টে দেনাম্রকের এই কারাভোগের এবং রিফিউজি ক্যাম্পে থাকার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি তার এই বর্ণনার নাম দিয়েছেনঃ The Hell in Jail in কোপেনহেগেন।
এই চায়নিজ ছাত্রী গ্রেফতারের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পড় ডেনমার্ক একটু নড়েচড়ে বসেছেন। সোশাল লিবারেল পার্টির মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান হেগারড পার্লামেন্টে অফিসিয়াল ভাবে প্রশ্ন তুলেছেন এই বিষটি নিয়ে।
তিনি জানতে চেয়েছন এই বিষয়ে- এই বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন যেখানে একজন ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য ডেনমার্কে এসেছিলেন এবং তার শেষ পরিণতি হয়েছে ডিটেননশন সেন্টার দিয়ে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো? ডেনিশ পার্লামেন্ট থেকে এই ব্যাপারে কেউ কোন বিবৃত্তি দিতে রাজি হন নি অবশ্য। তবে অনেকে মনে করছেন জু এর সাথে হয়েছে সেটা ইউরোপিয়ান হিউম্যান রাইটের বিচার এর বাহিরে হয়েছে।
ইউরোপ বাংলার অন্যান্য সংবাদঃ
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিক্রি হচ্ছে মাসে ৩০ কোটি টাকার ওষুধ
- আমেরিকার ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু
- আমেরিকায় স্থায়ীবসবাসের জন্য আবেদন করা যাবে যেসব ভিসায়।!
ইউরোপ বাংলায় আপনিও লিখুনঃ
প্রবাস কিংবা দেশে যে দেশে অবস্থান করছেন আপনি চাইলে আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া নানান কাহানী, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী, রাজনীতির খবর, দূতাবাসের খবর, আচার অনুষ্ঠানের খবর ছবি ও ভিডিও আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমাদের কাছে লিখা পাঠানো ঠিকানাঃ [email protected] অথবা [email protected] এই ঠিকানায়।