ইউরোপ বাংলা: কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ক্যাম্পে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় ১০ হাজারে ওষুধের দোকান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মাসে ৩০ কোটি টাকার ওষুধ। কিছুদিন আগে কুতুপালং ক্যাম্প-৭-এর সিআইসি জিপি দেওয়ান নুরুল হক নামের এক ডাক্তারের ফার্মাসি থেকে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ওষুধ জব্দ করে লোকজনের উপস্থিতিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওষুধ সরবরাহক করছে এদেশের প্রায় ২ শতাধিক ওষুধ কোম্পানি। এরা উখিয়া টেকনাফের প্রতিটি কোম্পানিতে ৭-৮ জন করে বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ করেছেন বলে উখিয়া ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাক্তার আব্দু রহিম জানিয়েছেন।
দোকানগুলোতে ডাক্তারি করছে রোহিঙ্গারা। উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে উঠা এসব বাজারে ও ভেতরে ব্যাঙের ছাতার মতো রোহিঙ্গাদের ওষুধের ফার্মেসির দোকান, আড়ালে চলচ্ছে অবৈধ ব্যবসা ইয়াবা। উখিয়া জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২০-২৫ রোহিঙ্গা বাজার কেন্দ্রিক ওষুধের দোকান খুলে স্থানীয় পরিচয়ে ডাক্তারি চিকিৎসা করছে এখন অনেক রোহিঙ্গারা। অনেকেই ক্যাম্পের ভেতরে বাড়িতে অবৈধভাবে ডাক্তারি ও ওষুধ বিক্রি করছে। তেমনি গঙ্গার সর ফার্মেসিসহ অনেক দোকান আড়ালে অপচিকিৎসা ও ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন রোহিঙ্গা ডাক্তারা।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ফের লকডাউন
স্থানীয় কিছু দালালচক্রে মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসি ড্রাগ লাইসেন্সের ফটোকপি দিয়ে অবৈধভাবে দোকান করে আসছে এই রোহিঙ্গারা, এমনকি তারা দোকানের আডালে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। থাইংখালী, বালুখালী, পালংখালী, ময়নারঘোনা, শাপলাপুর, কুতুপালং, মধুরছড়া, জামতলি রোহিঙ্গা বাজারের অলিতে গলিতে অবৈধভাবে ওষুধের ফার্মেসি খুলে রোহিঙ্গারা নিজেদের বাংলাদেশি সেজে ভুয়া পরিচয় দিয়ে চিকিৎসার নামে অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। আবার অনেকেই ফার্মেসি আড়ালে চালাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছু স্থানীয় দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ডাক্তাররা কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নামে বেনামে ট্রেড লাইসেন্স ও নাগরিক সনদ নিয়ে ভুয়া চিকিৎকরা আনতাজ করে ও মনগড়াভাবে ওষুধ লিখে রোগীদের হাতে চিকিৎসাপত্র তুলে দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন নিম্নমানের মেডিসিন ধরিয়ে দিচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, শিশুসহ এলাকার মানুষের হাতে। এসব অপচিকিৎসার ফলে শরীরের উল্টো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে নিরহ অসচেতন লোকজন।
বার্মাইয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ও ওষুধের দোকানগুলো সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক যেসব অশিক্ষিত ভুয়া রোহিঙ্গা ডাক্তার ও আনাড়ি চিকিৎসকরা যত্রতত্র দোকান খুলে চিকিৎসার নামে ভুল চিকিৎসা করে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, কুতুপালং বাজারসহ ক্যাম্পের ভেতরে বাইরে ও ওষুধের দোকান খুলে যারা নিজেদের ডাক্তার দাবি করে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে ওষুধ বিক্রি করছে তাদের ব্যাপারে অভিযোগ থাকায় ইতিপূর্বে একাধিক বার মোবাইল পরিচালনা করে অর্থ ও জেল উভয় দন্ড দন্ডিত করেছি ফার্মেসি এবং কথিত ডাক্তারদের। জানতে চাইলে কক্সবাজার সিভিল সার্জেন মাহবুবুর রহমান জানান এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।