ইউরোপ বাংলা ডেস্ক: চতুর্থ ধাপ গতকাল ৩৯টি বাসে করে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয় আরো দুই হাজার ১৪ জন রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয় তারা। সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাঁচটি জাহাজে চেপে ভাসানচরের পথে রয়েছেন এসব রোহিঙ্গা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাসানচরে যাওয়ার জন্য আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে রোহিঙ্গারা নৌবাহিনীর জাহাজে উঠতে শুরু করেন। সকাল ১০টার আগেই রোহিঙ্গারা জাহাজে উঠে বসেন। সকাল ১০টার দিকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলো।
আরো পড়ুন: তিস্তা চুক্তি না হওয়াটা দুঃখজনক: দোরাইস্বামী
কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের (আরআরআরসি) কর্মকর্তারা জানান, শনিবার থেকেই উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর গতকাল সকালে ২২টি বাস ও বিকেলে আরো ১৭টি বাসযোগে রোহিঙ্গারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। তাদের সঙ্গে মালামাল ভর্তি ১১টি কাভার্ড ভ্যানও ছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, আজ উখিয়া থেকে আরো দেড় হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেবে।
উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর শিবির থেকে গতকাল সকালে পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেন রোহিঙ্গা নেতা সালেহ আহমদ। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বাস থেকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আরো বহু আত্মীয়-স্বজন মিলে যাচ্ছি। এর আগেও অনেক স্বজন ভাসানচরে গেছে। আমরা সবাই স্বেচ্ছায় যাচ্ছি।’ তিনি জানান, ভাসানচর যে অত্যন্ত নিরাপদ, এখন তা প্রমাণিত। এ কারণে শিবিরগুলো থেকে আরো বহু রোহিঙ্গা ভাসানচর যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।