ইউরোপবাংলা ডেস্কঃ করোনা মাহামারি পরিস্থিতিতে উত্তরণের জন্য পর্তুগাল তথা পুরো বিশ্বের একটি কার্যকর ভ্যাকসিন প্রয়োজন। এমতাবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সমন্বিতভাবে পর্তুগাল ২ কোটি ২০ লক্ষ করোনা টিকা পাচ্ছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে ৬ টি টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সাথে অগ্রিম টিকা ক্রয় চুক্তি করেছিল ৫ টি থেকে পর্তুগালকে এই টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে।
পর্তুগাল যেসকল কোম্পানি থেকে করোনার টিকা পাচ্ছে, ফাইজার থেকে ৪৫ লক্ষ ডোজ, আ্যসট্রা যেনেকা থেকে ৬৯ লাখ ডোজ , জনসন এন্ড জনসন থেকে পাচ্ছে ৪৫ লাখ ডোজ, কিউরভেক থেকে ৪০ লাখ ডোজ এবং মডেরনা থেকে ১৯ লাখ ডোজ।
ইতিমধ্যে তিনটি কোম্পানির ভ্যাকসিন ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ই এম আ) পর্যবেক্ষণের মাঝে রেখেছে সেগুলো হচ্ছে ফাইজার, আ্যসট্রা যেনেকা এবং মডেরনা তবে এগিয়ে আছে ফাইজার, এবং মডেরনা যা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনুমোদন হতে পারে।
করোনার টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হবে তবে প্রথম ধাপে বয়স্ক, বয়স্ক সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি, স্বাস্থ্যকর্মী এবং দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের কে প্রদান করা হবে। দেশের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধানে প্রতিটি অঞ্চলের স্থানীয় সরকারের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র হতে টিকাদান হবে।
গতকাল ২৯ শে নভেম্বর কাউন্সিল অফ স্টেট অফ পর্তুগালের মেম্বার জনাব লুইস মার্কেস মেন্ডিস বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন এবং তিনি এও জানিয়েছেন ডিসেম্বরের শেষ দিকে খুবই সামান্য পরিমাণে ভ্যাকসিন পর্তুগালে আসলেও অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার জন্য আমরা জানুয়ারি ২০২১ কেই লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ধরে নিয়েছি।
