ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃযুক্তরাজ্যের পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার , এবং এই কাজে জড়িত ৩০ লাখ লোকের চাকরির ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে যা দেশের মোট কর্মসংস্থানের ১১ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারের স্বাস্থ্যবিধির যাঁতাকলে অনিশ্চিত ভ্রমণ বিধিনিষেধের কারণে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের জনগণ তথা যুক্তরাজ্যের জনগণ তাদের নিজ দেশে ছুটি কাটাতে বাধ্য হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের গত ২৬ আগস্ট ২০২০ বুধবারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উপাত্ত ফুটে উঠেছে।
গত ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম সেক্টরে ৪০ লাখ লোক যা যুক্তরাজ্যের মোট কর্মসংস্থান ১১ শতাংশ মানুষ এবং দেশের অর্থনীতিতে ২০০ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৯ শতাংশ মোট জিডিপি তে অবদান রেখেছে।
ডব্লিউ টি টি সি এর প্রেসিডেন্ট এবং সিইও গ্লোরিয়া গুয়েভারা বলেছেন এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যুক্তরাজ্যের এক বছর সময় লেগে যেতে পারে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে যুক্তরাজ্য পর্যটকদের পছন্দের স্থান হারাতে পারে।
তিনি যুক্তরাজ্য সরকারকে খুবই দ্রুত আমার মধ্যে বিভিন্ন দেশকে কোরেনটাইন এর বিধিনিষেধ আরোপ এবং প্রত্যাহার বিষয়টি বিবেচনা করে বর্তমানে যুগোপযোগী বহির্গমনের করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ সার্টিফিকেট গ্রহণ করে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহর গুলির সাথে পূন সংযোগ চালু করার মাধ্যমে পর্যটন খাত কে গতিশীল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশেষত যুক্তরাজ্য ইউরোপের দেশগুলোতে যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ বিধিনিষেধে হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য থমকে দাড়িয়েছে বিশেষত বর্তমানে স্পেন এবং ফ্রান্সের সাথে ভ্রমণ এর বিধি নিষেধ এবং ইতিপূর্বে ব্রিটিশ নাগরিকদের সেকেন্ড হোম খ্যাত পর্তুগালেও ভ্রমণের বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তবে কিছুদিন আগে পর্তুগালের উপর থেকে কোরেনটাইন বিধি তুলে নেয়া হয়।
তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সাথে সীমিত যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছে ।অপরদিকে বিভিন্ন দেশ নতুন প্রবর্তিত নিয়ম অনুসারে বৈশ্বিক যোগাযোগ শিথিল করতে শুরু করেছে। বিশ্ব অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ শহর লন্ডন আড়ালে থাকায় এক প্রকার যুক্তরাজ্য এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে।