
ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পরপরই ধরিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হলো ১.১ মিলিয়ন ডলারের বিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা।
বিলের অঙ্ক শুনেই ৭০ বছর বয়সী মাইকেল ফ্লরের নিজেকে বড়ই অপরাধী মনে হল।
তিনি বলেন, সত্যিই, জীবন ফিরে পেয়ে যেন বড় অপরাধী হয়ে গেলাম। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে ঘটেছে এ ঘটনা। মাইকেল তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, বিল তো নয়, যেন এক মোটা বই। ১৮১ পাতার বিলে খরচের খতিয়ান দেওয়া আছে।
বিল শুনে কিছু ক্ষণ চোখ বুজে ছিলাম। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিয়াটলের ইসাকোয়ায় সুইডিস মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হন মাইকেল। অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি নিয়েই ভর্তি হয়েছিলেন। বিলের অঙ্কই বলে দিচ্ছে তার অবস্থা কতটা সঙ্কটজনক ছিল।
আরো পড়ুন :
-
বাংলাদেশে আটকে পড়া পর্তুগাল প্রবাসীদের জন্য সুখবর!
-
ইউরোপে এসাইলাম বা রাজনৈতিক আশ্রয়ে যে জিনিস গুলো মাথা রাখা উচিত !
-
নরওয়ের মসজিদে বন্দুক হামলাকারীর যাবজ্জীবন (২১ বছরের) কারাদণ্ড দিয়েছে
-
১ লক্ষ ৮০ হাজারের অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দিয়েছে পর্তুগাল ২০১৯ সালে
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিডনি, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড কার্যত কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। টানা ২৯ দিন ছিলেন ভেন্টিলেটরে। প্রায় মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে মাইকেল ঘুরে এসেছেন বলে দাবি চিকিৎসকরদের।
কিন্তু বিলের অঙ্ক শুনে ফের মৃত্যুর দোরগোড়ায় যাওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল মাইকেলের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আইসিউ-র প্রতিদিন ভাড়া ছিল ৯,৭৩৬ মার্কিন ডলার। টানা ৪২ দিন আইসোলেশন চেম্বারে থাকায় বিল ৪,০৮,৯২ ডলার।
ভেন্টিলেটরে প্রতিদিন খরচ ২৮৩৫ ডলার। স্বাস্থ্য বিমা করা থাকায় পুরো বিল তাকে মেটাতে হয়নি। উল্টো কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় সরকার থেকে আর্থিক সাহায্য মিলেছে।
রেদওয়ানুল হক – যুক্তরাষ্ট্র থেকে