ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ব্রেক্সিট পরবর্তী তার দেশের ইমিগ্রেশন পদ্বতি গতোকাল প্রকাশ করেছেন । এতে ইইউর সাথে জানুয়ারিতে চলাচলের স্বাধীনতা ( ফ্রি মূভমেন্ট )শেষ হলে পয়েন্ট-ভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থার জন্য যুক্তরাজ্যের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে একটি ফাস্ট ট্র্যাক হেলথ অ্যান্ড কেয়ার ভিসার উন্মোচন করেছেন ।
স্বাস্হ্য এবং কেয়ার ভিসা সেইসব কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত যাদের জাতীয় স্বাস্হ্য সেবা (এন এইস এস ) থেকে কিংবা সামাজিক কেয়ারার থেকে নিশ্চিত চাকুরির অফার থাকবে এবং যারা এই বিষয়ে দক্ষ যেমন ডাক্তার, নার্স , রেডিওগ্রাফার, সোসিয়াল ওয়ার্কার এবং প্যারামেডিকস ।
নতুন এই ভিসা পদ্বতি চালু হবে ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে যখন যুক্তরাজ্য ই ইউ থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাবে । যখন ব্রেক্সিটের ট্রানজিসনের সময়সীমা শেষ হবে এবং ই ইউ এর সাথে যুক্তরাজ্যের ফ্রি মূভমেন্ট বন্ধ হবে । এরপর যদি কেউ ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে কাজের এবং বসবাসের জন্য আসতে চায় তাহলে অবশ্যই তাহাকে নতুন পয়েন্ট বেইজড পদ্বতিতে আবেদন করে ৭০ টি পয়েন্ট অর্জন করতে হবে ।
আরো পড়ুন পর্তুগালের লিসবন মেট্রোপলিটন এরিয়াতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল !
হাউস অফ কমন্সে লিখিত মন্ত্রিপরিষদের বিবৃতিতে মিসেস প্যাটেল বলেন, নতুন পয়েন্ট-বেইজড পদ্ধতিটি নিয়োগকারীদের দেশীয় কর্মীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে উত্সাহিত করবে, এবং বিদেশী কর্মীদের উপর নির্ভরতা কমাবে । কেনোনা এইমূহুর্তে সাড়া যুক্তরাজ্য জুড়ে বহু সংখ্যক লোক কাজ খুঁজছেন ।
তিনি আরো বলেন আমাদের যে দক্ষতা রয়েছে তার পরিপূরক হিসাবে কাজ করার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবীদের দৃস্টি আকর্ষন করতে আমাদের যা কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন আমরা তা করবো ।
তবে বিরুধীদল লেবার বলেছে সরকারের এই পরিকল্পনা আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সহিত পর্যবেক্ষন করছি কেনোনা করোনা মহামারির মধ্যে সরকার এই নিযে বিশদ কোনো আলোচনা করেনি ।
তবে এন এইস এস কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব কারী জিএমবি ইউনিয়ন নতুন এই নিয়মের সমালোচনা করে বলেছে এতে করে স্বল্প আয়ের কর্মীরা ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হবে।যেমন পরিচ্ছন্ন কর্মী, দারোয়ান কিংবা সাপোর্ট কর্মী ।