ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃপর্তুগালে করোনা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে কিছুটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে যেখানে প্রথম ছয় মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০হাজারের মতো অথচ দ্বিতীয় আঘাতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪৬ হাজারের মত প্রায়, একই চিত্র করোনায় মৃত্যু যেখানে প্রথম ছয় মাসে মারা গেছে ২ হাজারের নিচে অপরদিকে বর্তমানের মৃত্যুর সংখ্যাট ৭ হাজার ৩৭৭ জনে এসে পৌঁছেছে।
বুধবার ৬ ডিসেম্বর দেশটিতে সংক্রমনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক সর্বোচ্চ ১০ হাজার ২৭ জন একদিনে আক্রান্ত হন। একই দিনে ৯১ জন মৃত্যুবরণ করেন। এই চিত্র পর্তুগালে নাগরিকদের মনে এক প্রকার আতঙ্কের উদ্রেক হচ্ছে তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আতঙ্কগ্রস্থ না হয়ে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “স্বাস্থ্যকর্মীরা এক কঠিন সময় পার করছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা মেনে চলুন এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না এতে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সহায়ক হবে”।
আবে সবচেয়ে উৎকণ্ঠার বিষয় হচ্ছে যে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র মোট সক্ষমতার ৮০ শতাংশে পৌঁছে গেছে যা ইতিপূর্বে কখনোই ঘটেনি তবে এখানে উল্লেখ্য যে বিষয়ে যে করোনার পূর্বে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে সংখ্যা পর্তুগাল ১০০ শতাংশ বাড়িয়েছে তারপরেও এই চিত্র।
অপরদিকে আশার চিত্র হচ্ছে পর্তুগালে পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪০ হাজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে বলতে গেলে দুই-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে, তাছাড়া বিভিন্ন বৃদ্ধনিবাস কেন্দ্রে বয়স্কদের টিকা প্রদান ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁদেরকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে। তবে প্রথম ডোজ দেওয়া হলেও দ্বিতীয় ডোজ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীগন নিরাপদ নয়।
এদিকে গত সপ্তাহে করোণা টিকা নেওয়ার পর পর্তুগালের পর্তু শহরের একজন নার্স মৃত্যুবরণ করলে বিষয়টা নিয়ে একটু আতঙ্ক ছড়ায় পরবর্তীতে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট জানা গেছে টিকার কারণে তার কোন প্রকার মৃত্যু হয়নি। কেননা ফাইজার এন্ড বায়ো এনটেক এই টিকা অনেক নিরাপদ যা বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ গ্রহণ করেছেন এর গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের জন্য।