Friday, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

গ্রীসের লেসভোস দ্বীপের অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা আবারো গীর্জা ভাংচুর

গীর্জা ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িত আফ্রিকান ও আফগান অভিবাসীরা।

 

ইউরোপ বাংলা : অবৈধ অভিবাসীরা লেসভোসের মরিয়া শহরে সেন্ট ক্যাথরিন গির্জায় আবারো আক্রমণ চালিয়েছে।এর আগেও কয়েকবার লেসভোসের অবৈধ অভিবাসীরা গ্রীকদের বিভিন্ন গীর্জায় আক্রমণ চালিয়েছে এবং ব্যাপক ভাংচুর করেছে।লেসভোসে অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা গীর্জায় ভাঙচুর ও আক্রমণ চালানো এখন অত্যন্ত সাধারণ হয়ে পড়েছে।

গ্রীক সিটি টাইমসের খবরে বলা হয়েছে,গত মাসে, মরিয়া অভিবাসী শিবিরের নিকটবর্তী সেন্ট রাফেল গির্জার প্রধান প্রবেশদ্বারটিতেও আক্রমণ করা হয়েছিল।

লেসভোসের সর্বশেষ এই ঘটনাটি সাম্প্রতিক সকল ঘটনার মতই ঘটেছে।এর আগে আফগানি অভিবাসীদের দুটি দল একে অপরের সাথে লড়াই করছে। আফ্রিকার অভিবাসীরা করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে পুলিশকে উপহাস করে এবং ঢিল ছুড়ে মারে এবং মাত্র কয়েকদিন আগেই লেসভোসে তারা হাজারো জয়তুন গাছ ধ্বংস করেছিলো।

লেসভোসে থাকা ৫০,০০০ অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে প্রায় অর্ধেককে মরিয়া শিবিরে রাখা হয়েছে অথচ মরিয়া শিবিরে ধারন ক্ষমতা কেবলমাত্র ৩,০০০ লোকের।২০১৫ সালে অভিবাসী সংকট শুরুর পর থেকে তুরস্ক কয়েক হাজার মানুষকে অবৈধভাবে গ্রিসে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল, তখন থেকেই এই দ্বীপে অপরাধের বিকাশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এত অবৈধ অভিবাসীদের কারনে মাত্র ৯০,০০০ জন লোকের লেসভোস দ্বীপটি এখন গ্রিসের অন্যতম সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল হয়ে উঠেছে।

একটি গভীর ধর্মীয় সমাজ হিসাবে, গীর্জার উপর এই হামলাগুলি গ্রীক জনগনকে হতাশ ও ব্যাথিত করেছে।তারা সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে ইউরোপে,নতুন জীবনের সন্ধানকারী এই অবৈধ অভিবাসীরা কি আসলেই গ্রীসে বা ইউরোপে আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য?

দ্বীপপুঞ্জগুলিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধের পাশাপাশি গভীর পরিবেশগত প্রভাবও পড়েছে কারণ লেসভোসের জলপথ অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা একেবারে জঞ্জাল হয়ে পড়েছে।

তথ্যসূত্রঃ গ্রীক টাইমস/ইন্টারনেট

ইউরোপ বাংলা

ইউরোপ বাংলা

একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার, ব্লগার, এডুকেশনাল কনসালট্যান্ট, ক্যারিয়ার কাউন্সিলর, উদ্যোক্তা।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা