মোস্তাইন বিল্লাহ -সাইপ্রাস থেকে
সাইপ্রাসে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিধি তদারকিতে নিয়োজিত হলো প্রশিক্ষিত শ্রমপরিদর্শক এবং পুলিশবাহীনি।
সোমবার ৪ মে লকডাউন শিথিলের প্রথম দিন।নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি ও শর্তসাপেক্ষে চালু করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং নির্মাণশিল্পের কাজ। এ সকল কাজে নিয়োজিত শ্রমিক এবং সংশ্লিস্ট সকল নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন নিশ্চিত করতে নিয়োজিত থাকবে ১০০শত প্রশিক্ষিত শ্রমপরিদর্শক এবং পুলিশ।
শ্রমমন্ত্রী জেটা এমিলিয়ানিডু রোববার সিএনএকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, যে শ্রম পরিদর্শন ইউনিটের পরিচালক কর্তৃক ১০০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, আগামীকাল থেকে তারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং পুলিশ ও সংশ্লিস্ট অন্যান্য সংস্থাও এ কাজে অংশগ্রহণ করবে। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং নির্মাণকাজের জন্য তারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি নিশ্চিত করবেন, যেন সেগুলো সঠিকভাবে সবাই মেনে চলে।
তিনি আরো বলেন এ তদারকি প্রতিদিন অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে এবং আমাদের সবাইকে অবশ্যই সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপগুলি মেনে চলতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমরা এই পরিস্থিতি সফলভাবে কাটিয়ে উঠতে পারি।
প্রসংগত ৩রা মে রবিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা আটজন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা আটশত বাহাত্তরজন। মোট সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন দুইশত ছিয়ানব্বইজন। এবং এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন পনের জন।এবং এখনও পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কোন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সাইপ্রাসে বসবাসরত অবৈধ এবং স্টুডেন্ট প্রবাসীদের দিন কাটছে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠায়।প্রশাসনের বাড়তি নজরদারিতে তাদের কাজে যোগদান করা নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন সংশয়,ফলে জব হারাতে পারেন অনেকেই।