Friday, মে ৩, ২০২৪

রাশিয়ায় হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে : মস্কো

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : শিয়া আনসারুল্লাহ গ্রুপের জঙ্গিরা ইয়েমেনের আল-উদায়ন জেলায় বসতি স্থাপন করছে। রাশিয়া এবং অন্যান্য সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করতে যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গিগোষ্ঠীর দিকে ঝুঁকছে। সোমবার মস্কোর ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। আর সেই উদ্দেশ্যে সিরিয়ার একটি ঘাঁটিতে একটি দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও সংস্থাটি দাবি করেছে।

‘বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন’ উদ্ধৃত করে এসভিআর বলেছে, ‘রাশিয়া এবং কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস (সিআইএস)-এর সদস্য দেশগুলোতে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে মার্কিন সামরিক বাহিনী সক্রিয়ভাবে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত জিহাদি গোষ্ঠী থেকে জঙ্গিদের নিয়োগ করছে।’ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সিআইএস প্রতিষ্ঠিত হয়। আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, জর্জিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানসহ আরো কিছু সাবেক প্রজাতন্ত্র এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।

এসভিআর অনুসারে, ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় এমন ৬০ জন সন্ত্রাসীকে যুক্তরাষ্ট্র তালিকাভুক্ত করেছে। তারা সিরিয়ার আল-তানফ আমেরিকান সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেখানে তারা কীভাবে ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি ও ব্যবহার করতে হয় তা শিখছে। সংস্থাটির দাবি, ‘বিদেশী কূটনৈতিক মিশনসহ সু-সুরক্ষিত স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করার জন্য বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।’ ওয়াশিংটন ‘অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়া এবং সিআইএসের ভূখণ্ডে ছোট গোষ্ঠীর অংশ হিসেবে জঙ্গিদের মোতায়েন করার লক্ষ্যে রয়েছে। এরপর তারা কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা এবং সামরিক কর্মীদের লক্ষ্য করবে।

মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সমস্ত নৈতিক নীতি হারিয়ে ফেলেছে উল্লেখ করে সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, ‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড ওয়াশিংটনকে বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমান অবস্থায় নিয়ে গেছে।’ডিসেম্বরে এসভিআর পরিচালক সের্গেই নারিশকিন দাবি করেছিলেন, হোয়াইট হাউস ‘রাশিয়ার বাহ্যিক পরিধি বরাবর অস্থিতিশীলতার বেষ্টনী’ তৈরির নীতি অনুসরণ করছে।

এসভিআর তার দাবির পেছনে গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেনি। সংস্থাটি একসময় শক্তিশালী সোভিয়েত যুগের কেজিবির অংশ ছিল। সের্গেই নারিশকিনের গত বছর আংকারায় সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এ ছাড়াও ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ সংকটের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। পুতিনের মতে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বারবার রুশ স্বার্থ বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি এবং একজন স্বৈরাচারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা