ইউরোপ ডেস্কঃ : ইউরোপে কোঠা ভিত্তিক শরণার্থী গ্রহণের চুক্তি থাকলেও অনেক দেশ ই শরণার্থী নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে পোল্যান্ড সুইজারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, হাঙ্গেরি, অন্যতম। অন্যদিকে যারা গড়ে সবচেয়ে বেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছেন তাদের মধ্যে জার্মানি, সুইডেন, ইতালি, নরওয়ে অন্যতম। ছোট দেশ হিসাবে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় দিয়েছেন সাইপ্রাস, লুক্সেমবার্গ এবং মালটা। ছোট দেশ হিসাবে মালটা তাদের জনসংখ্যার বিবেচনায় এসইলাম বা শরণার্থী আশ্রয়ে সপ্তম দিকে রয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে।
ইউরোস্টেটের হিসাব মতে মাল্টা প্রায় ৪৩৫ জন শরণার্থীর আবেদন গ্রহণ করেছেন যাচাই বাছাই এর পরে অর্থাৎ এসইলাম আবেদন গৃহীত হয়েছেন বিভিন্ন দেশ হতে আগত শরণার্থীদের। পার ক্যাপিটার হিসাবে মালটা বেশি সংখক আবেদনকারীকে আশ্রয় দিয়েছে। এসব শরণার্থীর বেশিরভাগ ই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া, ইরিত্রিয়া, লিবিয়ার নাগরিক। তাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ সিরিয়ার নাগরিক।

এদের মধ্যে বেশিরভাগ আবেদনকারীর আবেদন সাময়িকভাবে গৃহীত হয়েছে, কাউকে রিফিউজি কোঠায় , আবার কাউকে মানবিকতার দিক বিবেচনায়। ১০৪০ জন এসইলাম আবেদনকারীর মধ্যে ৩৯% প্রথম শুনানিতে গৃহীত হয়েছে তাদের আবেদন, বাকি যারা পেয়েছেন তারা আপিলের মাদ্ধমে। গত বছর থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এসইলাম আবেদন গ্রহণের হার আগের বছর থেকে ৬% কমিয়ে আনা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে গত বছর প্রায় ৩ লাখেরও বেশি আবেদনকারীকে ইউরোপে আশ্রয় দেয়া হয়েছে জার ২৭% ই সিরিয়ার নাগরিক। বাকি অন্যান্য দেশের।
গত বছর সবচেয়ে বেশি শরণার্থীর প্রোটেকশন দেয়া হয়েছেন বা আবেদন পজেটিভ ধরে নেয়া হয়েছে সেই দেশগুলো হলো পর্যায় ক্রমে – জার্মানি ১১৬২০০, ফ্রান্স ৪২০০০, স্পেন ৩৮৫০০ জনের মত. যখন জনসংখ্যার আকার বিবেচনায় নেওয়া হয়, প্রতি মিলিয়ন জনসংখ্যার ভিত্তিতে গ্রিস ১৭৩৫ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে শীর্ষে উঠে আসে, তারপরে অস্ট্রিয়া (১,৫৫০) এবং সাইপ্রাস (১,৫০০) রয়েছে। জার্মানি প্রতি মিলিয়ন জনসংখ্যার ১৪০০ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, তার পরে সুইডেন ১১৫০ লাক্সেমবার্গ এবং মাল্টা যথাক্রমে ১০৯০ এবং ৮৮০ নিয়ে ষষ্ঠ এবং সপ্তম স্থানে এসেছিল .