ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : সামরিক অভিযান শুরুর সাত মাসেরও বেশি সময় পর ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলের রাশিয়ার প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্র ‘কখনোই, কখনোই, কখনোই’ স্বীকৃতি দেবে না। চার ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার বলে ঘোষণা দেওয়ার আগেই বাইডেন এই মন্তব্য করেন।
ক্রেমলিন বলছে, সাম্প্রতিক গণভোটে লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসন অঞ্চল রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা এই ভোটকে জাল বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অবশ্য নতুন করে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখলে নেওয়ার ফলে রাশিয়ার ওপর এখন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ইউক্রেনের সার্বভৌম ভূখণ্ডে রাশিয়ার দখলদারিত্বকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সামনে আনা নথিতে বলা হয়েছে, দুই অঞ্চলের স্বাধীনতা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বীকৃত এবং ‘জাতিসংঘের সনদে অন্তর্ভুক্ত’ হয়েছে। তবে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, শক্তি প্রয়োগের ভিত্তিতে কোনো দেশের ভূখণ্ড দখল করা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এতে ‘বিপজ্জনক ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি’ পায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক বিশ্বে এর কোনো স্থান নেই’।
আট বছর আগে একইভাবে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া। এবারও সেটির পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে যদিও ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেই দখলদারিত্বকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশাল অংশ কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি এবং এবারও দেবে বলে মনে হয় না। তবে পশ্চিমারা যাই বলুক না কেন, রাশিয়ার পার্লামেন্টের দুটি কক্ষ আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখলের এই পদক্ষেপকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবে।