ইউরোপ বাংলা : মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে আগামী এক বছরের জন্য ক্ষমতা নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে আটক নেতাদের মুক্তি দিতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি অভ্যুত্থান নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন।
আজ সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিয়ানমারের সম্প্রতি নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন বা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টার আমেরিকা বিরোধিতা করে। যদি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য দলকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন গণতান্ত্রিক রীতি এবং আইন মেনে চলে। এবং আটক নেতাদের ছেড়ে দেয়।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান তার পররাষ্ট্রনীতির জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। এমনকি কমিউনিস্ট নেতৃত্বাধীন চীনের বিরুদ্ধেও এ নীতি অটল থাকবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
বরিস জনসনের নিন্দা: মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই সঙ্গে আটক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। অং সান সুচিকে অবৈধভাবে আটক রাখার নিন্দাও জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দায় সরব হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সেই তালিকায় শরিক হলেন।
জানা গেছে, গত বছরের নির্বাচনে ৪৭৬ আসনের মধ্যে ৩৯৬টিতে জিতেছে অং সান সুচির দল। তবে সেনাবাহিনীর অভিযোগ, নির্বাচনের ফলে জালিয়াতি করা হয়েছে। এ ঘটনার জেরে অং সান সুচি এবং সে দেশের প্রেসিডেন্টকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জনসন এক টুইট বার্তায় জানান, আমি এ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাচ্ছি এবং অং সান সুচিসহ মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের বেআইনিভাবে আটকের নিন্দা জানাচ্ছি।