Friday, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

পরিস্থিতি দেখতে লেবানন যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

সাথে নিয়ে যাচ্ছেন নানান সহায়তা

ইউরোপ বাংলা: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মানবিক সহায়তা নিয়ে লেবাননে যাচ্ছেন। তিনি ফ্রান্স থেকে দু’টি বিমানে করে উদ্ধারকর্মী এবং মানবিক সহায়তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈরুতে পা রাখবেন । সংবাদমাধ্যম এপিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, তিনি লেবাননে সফর করবেন।

এছাড়া দেশটি ১৫ টন স্যানিটারি সরঞ্জাম এবং ৫০০ আহত লোককে চিকিৎসার জন্যে সরঞ্জামসহ একটি মোবাইল ক্লিনিকও পাঠাচ্ছে। ম্যাক্রোর কার্যালয় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছে যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট লেবাননের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন তবে এবিষয়ে আর কোনো বিবরণ দেওয়া হয়নি। লেবানন হল ফরাসী উপনিবেশভুক্ত দেশ যার সাথে ফ্রান্স ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

মঙ্গলবার লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আওনের সঙ্গে কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এসময় লেবাননের প্রতি তার দেশের জনগণের সমর্থন এবং সহায়তার আশ্বাস দেন।

সংবাদমাধ্যম এপিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, তিনি লেবাননে সফর করবেন। তবে এর বাইরে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর বৈরুতের বন্দরের পাশের একটি গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শতাধিক নিহত ও আরও চার হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ফ্রান্স এবং লেবাননের মধ্যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। সে কারণেই লেবাননের এই বিপদের সময় পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ফ্রান্স।

ইউরোপীয় কমিশন বলছে যে, শতাধিক দমকল কর্মী, উদ্ধারকারী যান এবং প্রত্যন্ত এলাকায় ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, পোল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসও এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য আরও কিছু দেশও এতে অন্তর্ভূক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে, ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান কারিম হেম্মাতি জানিয়েছেন, বৈরুতে প্রথম ধাপে দুই হাজার প্যাকেট খাবারের পাশাপাশি ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় নয় টন ওজনের খাবারের প্যাকেট পাঠানো হবে। তিনি বলেন, বৈরুতে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবে ইরান। সেখানে ২২ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে ওই চিকিৎসক দলটি বিমানযোগে বৈরুতে পৌঁছেছে। বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে কাতার, ইরাক ও কুয়েত। বৈরুতে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট দুটি ফিল্ড হাসপাতাল পাঠাবে কাতার এবং তেল পাঠাবে ইরাক।

আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ২৫ মিনিট ফোনালাপ

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা