Saturday, এপ্রিল ২০, ২০২৪

নরওয়ের মসজিদে বন্দুক হামলাকারীর যাবজ্জীবন (২১ বছরের) কারাদণ্ড দিয়েছে

                    নরওয়ের মসজিদে বন্দুক হামলাকারীর ২১ বছরের কারাদণ্ড – ছবি : সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্কঃ  সৎ-বোনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা ও অসলো মসজিদে বন্দুকহামলা চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বিচারের রায় দিয়েছে নরওয়ের আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারের রায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। যা নরওয়ে আইনে সব থেকে দীর্ঘতম শাস্তি।

গত বছর, ২২ বছরের ম্যানশাউস তার ১৭ বছরের সৎ-বোনকে অসলোর বেরাম শহরে তাদের বাড়িতে রাইফেল দিয়ে চারবার গুলি করে হত্যা করেন। পরে তিনি নিকটবর্তী এক মসজিদে চলে যান। যেখানে তিনজন মুসল্লি ঈদুল-আযহা উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাকে প্রতিহত করার আগেই মসজিদের কাঁচের দরজা গুলি করে ভেঙে ভেতরে ঢুকে হত্যাকাণ্ড চালায় ম্যানশাউস।

গত বছরের ওই আক্রমণের আগে থেকেই ম্যানশাউস অভিবাসী ও মুসলিমবিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করতেন। বিচার চলাকালীন তার মধ্যে কোনো অনুশোচনাও দেখা যায়নি।

বিচারক আনিকা লিন্ডস্ট্রোয়েম বলেছেন, তিনি অধিক সংখ্যক মুসলিম হত্যার উদ্দেশ্য নিয়েই সেখানে গিয়ে

এ ঘটনার আগে, নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর হামলায় ৫১ জন মুসল্লিকে গুলি করে হত্যার প্রশংসা করে ছিলেন ম্যানশাউস।

আদালতে ম্যানশাউস তার অপরাধ স্বীকার করেন।

এছাড়াও ২০১১ সালে নরওয়েতে ৭৭ জনকে নৃশংস গণহত্যার ঘটনার হত্যাকারী আন্ডার্স বেহরিং ব্রেকিকের সাথে এই হামলার তুলনা করা হয়েছে। ম্যানশাউস হেলমেট ক্যামেরা পরে মসজিদে হামলার ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করেন। তবে তিনি আক্রমণের ভিডিওটি অনলাইনে সম্প্রচারে ব্যর্থ হন।

আসামী পক্ষের উকিলের ম্যানশাউস মানসিক ভারসাম্যহীনতার দাবিকে আদালত প্রত্যাখ্যান করেছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মূল্যায়নের পর তিনি মানসিক সুস্থ প্রমাণিত হয়েছেন।

ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ম্যানশাউসকে সর্বোচ্চ ২১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি সমাজের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হলে তার মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হতে পারে।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা