সোমালিয়ায় বন্দী থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন বলে রোমে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন সিলভিয়া রোমানো। ইতালিয়ান কম্যান্ডো টিম তুর্কী সিক্রেট সার্ভিসের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে রবিবার রোমে নিয়ে আসে। হিজাব পরিহিতা সিলভিয়া সাবলীলভাবে নেমে আসেন ইতালিয়ান এজেন্সি ফর ইনফরমেশন এন্ড ফরেইন সিকিউরিটি’র বিশেষ জেট বিমান থেকে।
চাম্পিনো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর জুসেপ্পে কন্তে’র সাথে একান্তে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন প্রবল আত্মবিশ্বাসী সিলভিয়া রোমানো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি মাইও সহ এসময় ভিআইপি লাউঞ্জে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলভিয়ার মা-বাবা ও বোন। বিমানবন্দর থেকে সিলভিয়াকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্যারামিলিটারি পুলিশ ফোর্স ক্যারাবিনিয়েরি’র হেফাজতে।
সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক তদন্ত অফিসে সিলভিয়াকে প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন রোম প্রসিকিউটর অফিসের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটরা। কেনিয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে অপহরণের শিকার হবার পর সোমালিয়ার আল-শাবাব জেহাদি গ্রুপের আস্তানায় দীর্ঘ ১৫ মাস বন্দী জীবনে যা যা ঘটেছে সবই জানান তিনি। হাস্যোজ্জ্বল সিলভিয়া ম্যাজিস্ট্রেটদের বলেন,”আমি ভালো আছি। কেনিয়ায় অপহরণকারীরা আমার সাথে কখনোই কোন প্রকার খারাপ আচরণ করেনি”।
ধর্মান্তরিত হবার সত্যতা নিশ্চিত করে ম্যাজিস্ট্রেটদের সিলভিয়া রোমানো বলেন,”আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি এবং এটা ছিলো একান্তই আমার নিজস্ব চয়েস। সোমালিয়ায় বন্দী জীবনে সবাই আমার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করেছে এবং বিয়ে করার জন্যও চাপ প্রয়োগ করেনি কেউ আমাকে”। বিগত মাসগুলোতে তাঁকে ঘিরে ছড়ানো নানান গুজব সব ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা নিবেদিতপ্রাণ এই ভলান্টিয়ার।
◾ মাঈনুল ইসলাম নাসিম ◾
(ইতালি প্রবাসী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক)