ইউরোপবাংলা ডেস্কঃ পর্তুগালে গত সপ্তাহের প্রবর্তিত জরুরি সতর্ক অবস্থায় শেষ হওয়ার সাথে সাথে পূর্বে আরোপিত দুর্যোগ বিপর্যস্ত পরিস্থিতি আগামী ১৫ ই নভেম্বর মধ্যরাত নবায়ন করা সহ, ৪ ঠা নভেম্বর থেকে রাজধানী লিসবন ও বন্দরনগরী পর্তু সহ ১২১ টি কনন্সেলোতে (মিউনিসিপাল) আসছে দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন। গত শনিবার পর্তুগাল সরকারের মন্ত্রিসভার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত প্রণয়ন করা হয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর আন্তোনিও কস্তা সাংবাদিকদের নতুন লকডাউন এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
সরকার ঘোষিত এই লকডাউনে যে সকল নিয়ম নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে তা চলুন জেনে নিই এক নজরে:
১। জনগণকে সুনাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া পাবলিক প্লেস এবং রাস্তাঘাটে বের হওয়া যাবেনা,
২। যে সকল ক্ষেত্রে সম্ভব ঘরে বসে টেলি ওয়ার্ক (অনলাইনে অফিস) করতে বলা হয়েছে,
৩। সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ রাত দশটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে তবে ব্যতিক্রম (ফুড ডেলিভারি, ফার্মেসি, ক্লিনিক, শেষকৃত্য , ফুয়েল স্টেশন এবং রেন্ট-এ-কার),
৪। রাত ১০.৩০ পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা যাবে, একই টেবিলে সর্বোচ্চ ৬ জন বসতে পারবে (একই পরিবারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম),
৫। মেলা এবং যেকোন খোলা বাজার নিষিদ্ধ করা হয়েছে,
৬। সর্বোচ্চ ৫ জনের বেশি যে কোন প্রকার অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়েছে(একই পরিবারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম),
৭। রাস্তায় অ্যালকোহল পান নিষিদ্ধ করা হয়েছে,
৮। রাত আটটার পরে অ্যালকোহল বিক্রয় নিষিদ্ধ,
৯। সুপার শপ / মিনি মার্কেট নিদৃষ্ট কামরা মিনিসিপাল এর নির্দেশনা অনুযায়ী খোলা এবং বন্ধ সময় বলবৎ থাকবে।
১০। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ০.০৫ জন একসাথে অবস্থান করতে পারবেন।
১১। পাঁচজন ধারণক্ষমতার গাড়িতে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২/৩ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে তবে একই পরিবারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন করোনা মহামারী আঘাত হানার প্রথম দিকে পর্তুগালের জনগণ যেভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছিল ঠিক সেরকম ভাবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে করোনা মহামারী সংক্রমণ রোধ করবেন। এছাড়া তিনি পর্তুগালের করোনা ভাইরাস কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ স্টে এওয়ে কোভিড (STAYAWAY COVID) ডাউনলোড এবং এক্টিভেট রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।