ইউরোপবাংলা ডেস্কঃ ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউরোপে করোনায় মৃত্যুতে ব্রিটেনের পরেই গায়ে-গায়ে রয়েছে ফ্রান্স ও ইতালি। ইতালিতে ৪২ হাজার ৯৬৩ জন মারা গিয়েছেন। ফ্রান্সে মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজার ৫৩৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি ইতালিতেই ৬২৩ জন করোনা আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় পজিটিভ কেস সবথেকে বেশি ধরা পড়েছে ফ্রান্সে। ৩৫ হাজার ৮৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণে ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ফ্লান্স। ১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৩৮ জন আক্রান্ত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাশিয়ায় মোট আক্রান্ত ১৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৬০ জন।
করোনা মোকাবিলায় ডিসেম্বর থেকেই ব্রিটেনে গণ টিকা কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। শেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে ফাইজারের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ব্রিটেনবাসীকে। তার আগেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণের জেরে মৃত্যুর নজির গড়ে ফেলল দেশটি। বুধবার রাতেই ব্রিটেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে কোভিড সংক্রমণে এটা সর্বোচ্চ মৃত্যু।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রিটেনের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কেয়ার সেন্টার মিলিয়ে করোনায় ৫৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০,৩৬৫। যুক্তরাজ্য আর একটি সূত্রে দাবি, করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬০,০০০ পেরিয়েছে। হাসপাতালগুলির বাইরেও একাধিক জন মারা গিয়েছেন। ব্রিটের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, মৃত্যুর এই নজিরই বলে দেয় আমরা এখনও কোভিড সংকট কাটিয়ে উঠতে পারিনি।
বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে করোনায় মৃত্যুতে ৫০ হাজারের সীমা অতিক্রম করল যুক্তরাজ্য। আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারত ও মেক্সিকোর পরেই এখন যুক্তরাজ্যের অবস্থান। বরিস জনসনের দেশে বুধবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭২৫। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ২২,৯৫০ জন।
এমত পরিস্থিতিতে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন ‘মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অথরিটি’ (MHRA)-র অনুমোদন পেয়ে গেলেই গণহারে টিকা কর্মসূচি শুরু করবে ব্রিটেন। গণ টিকার জন্য ইংল্যান্ডের ফুটবল স্টেডিয়াম, কনফারেন্স সেন্টার ও টাউন হলগুলির কথা ভাবা হয়েছে।