Sunday, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

অস্ত্রের জন্য রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে খাবার দেবে : যুক্তরাষ্ট্র

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, অস্ত্রের বিনিময়ে খাদ্যের প্রস্তাব দিতে উত্তর কোরিয়ায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে রাশিয়া। উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে যেকোনো অস্ত্র চুক্তি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি চুক্তি সম্পর্কে নতুন তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে এক সংবাদ সম্মেলনে কিরবি বলেন, ‘আমরা এটাও বুঝি যে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে চাইছে এবং রাশিয়া যুদ্ধাস্ত্রের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে খাবার দিতে চাইছে।’ নিরাপত্তা মুখপাত্র বলেছেন, এই পরিস্থিতি এবং কথিত চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী এবং রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করেছে। তবে পিয়ংইয়ং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিক পর্যন্ত দেশটিতে একটি বিধ্বংসী দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সেই সঙ্গে কয়েক দশক ধরে দেশটি দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন, বিশ্বের অন্যতম স্বৈরাচারী সরকারের দেশটি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য হ্রাসের কারণে গুরুতর খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে খারাপ আবহাওয়া, কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষের স্যাটেলাইটের ছবিগুলোতেও দেখা যায়, উত্তর কোরিয়া ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এক লাখ ৮০ হাজার টন কম খাদ্য উৎপাদন করেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার মার্কিন ট্রেজারি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দালাল হিসেবে কাজ করার জন্য এক পৃথক মামলায় একজন স্লোভাক ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ট্রেজারি বলেছে, উত্তর কোরিয়াকে ২০২২ সালের শেষের দিকে এবং ২০২৩ সালের প্রথমদিকে রাশিয়ায় অস্ত্র পাঠাতে সক্ষম করতে ৫৬ বছর বয়সী অ্যাশট মারটিচেভ কাজ করেছেন। বিনিময়ে পিয়ংইয়ং নগদ অর্থ, বাণিজ্যিক বিমান, পণ্য এবং কাঁচামাল পেয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে ব্যবহৃত বা ধ্বংস হওয়া অস্ত্র প্রতিস্থাপনের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়াকে অস্ত্রের উৎসের জন্য অন্যান্য দেশের দিকে ফিরে যেতে প্ররোচিত করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ইরান রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক সমর্থক হয়ে উঠেছে।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা