ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে একটি কলাভর্তি কন্টেইনার থেকে ৮.৮ টন কোকেন জব্দ করেছে দেশটির পুলিশ। চালানটি ইকুয়েডর থেকে বেলজিয়ামের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ কমান্ডার ফাউস্টো স্যালিনাস বলেছেন, এই বিপুল পরিমাণ মাদকের মূল্য আনুমানিক ৩৩ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে ইকুয়েডর প্রতিবেশী দেশ পেরু এবং কলম্বিয়ায় উৎপাদিত কোকেনের প্রধান ট্রানজিট দেশ হয়ে উঠেছে। গত বছর আন্দিয়ান দেশে ২০০ টনেরও বেশি মাদক আটক করা হয়েছিল। এর বেশির ভাগই গুয়াকিল বন্দরে।
আন্দিয়ান হলো পশ্চিম-দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলোর একটি গ্রুপ, যা আন্দিজ পর্বতশ্রেণি দ্বারা সংযুক্ত। আন্দিয়ান সম্প্রদায় চারটি দেশের একটি বাণিজ্য ব্লক। সেগুলো হলো বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং পেরু। চিলি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ে সহযোগী সদস্য এবং পানামা, মেক্সিকো ও স্পেন পর্যবেক্ষক। বিশ্বের বৃহত্তম কলা রপ্তানিকারক দেশ হলো ইকুয়েডর। তাই এই দেশটিতে চোরাকারবারিরা প্রায়ই তাদের অবৈধ চালান ফলের মধ্যে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। যা গুয়াকিল থেকে সারা বিশ্বে পাঠানো হয়। বেলজিয়ামে পাঠানোর জন্য কলাভর্তি কেসের ভেতর সর্বশেষ এই মাদকের চালান পাওয়া গেল।
বিপুল পরিমাণ এই মাদক এমন সময় উদ্ধার করা হলো যখন, বেলজিয়ামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনেলিয়েস ভেরলিনডেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার ইয়ালভা জোহানসন ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া সফর করছেন। তবে দুই কর্মকর্তাই মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চান। বেলজিয়াম এমন একটি দেশে পরিণত হয়েছে, যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কোকেন জব্দ করা হয়েছে। দেশটির এন্টওয়ার্প বন্দর অবৈধ মাদকের প্রধান প্রবেশস্থল।
ইউরোপিয়ান মনিটরিং সেন্টার ফর ড্রাগস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশনের পরিচালক অ্যালেক্সিস গোসডিল এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, ‘কোকেনের চালান বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’ তিনি সতর্ক করে আরো বলেন, আমি প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বৃদ্ধি পাওয়া কোকেনের বাজার পাবলিক প্রতিষ্ঠান ও শাসনব্যবস্থায় সহিংসতা এবং দুর্নীতির বৃদ্ধি করছে। ইকুয়েডরে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সহিংসতা আকাশ ছুঁয়েছে। কারাগারগুলো উপচে পড়ছে এসব আসামি দিয়ে। আবার মাদক সহিংসতায় অনেকে মারাও যাচ্ছে।