Monday, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বহু লোক প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মধ্যে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে শেষ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে। এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে দুই দেশে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। তুরস্কে ১২ হাজার ৮৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ার মৃতের সংখ্যা, তিন হাজারের অঙ্ক পার করেছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৩০ মিনিট নাগাদ তুরস্ক-সিরিয়া সংলগ্ন সীমান্ত ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। প্রাথমিকভাবে ৩৫০ জনের মৃত্যুর খবর এলেও পরে দেখা যায়, মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ার একটা বড় অংশে ভূমিকম্পের প্রভাবে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রসঙ্গত, দুই দেশের ইতিহাসে এই ভূমিকম্প সবচেয়ে মারাত্মক। ১৯৯৯ সালে ওই এলাকার এক ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় ১৭ হাজার মানুষ। ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৩০ হাজার মানুষের। এরপর দুই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক ভূমিকম্প ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঘটে।

ভূমিকম্পের কারণ :

পৃথিবীর ভূ-ভাগের বাইরের পৃষ্ঠটি অনেক টুকরা দিয়ে গঠিত, যেগুলোকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। পৃথিবী সৃষ্টির আদিতে এই প্লেটগুলো একসঙ্গে ছিল, এগুলো ক্রমে সরতে সরতে এখন বিভিন্ন মহাদেশের আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে। সঞ্চালনশীল এই প্লেটগুলোর সীমানা ‘সিস্টেম অব ফল্টস’ হিসেবে পরিচিত। ফল্ট হচ্ছে দুই প্রস্থ পাথরের মধ্যখানের ফাটল বা চ্যুতি। টেকটোনিক প্লেটের এই ফল্টগুলোর হঠাৎ যেকোনো নড়াচড়াই ভূমিকম্পের কারণ।

নিউজউইক জানায়, তুরস্কের ভূতল দিয়ে এমনই দুটি ফল্ট লাইন চলে গেছে, যার নাম ‘নর্থ আনাতোলিয়ান ফল্ট লাইন’ ও ‘ইস্ট আনাতোলিয়ান ফল্ট’। তুরস্ক এ দুই ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থিত হওয়ায় বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের দাবি, বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ পাত এই ভূমিকম্পের ফলে প্রভাবিত। যে পাতের ওপর তুরস্ক অবস্থান করছে, তা পশ্চিমের দিকে পাঁচ থেকে ছয় মিটার এগিয়ে গেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা