Friday, মার্চ ২৯, ২০২৪

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্য আজ

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : জাপানের নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্য আজ। তার শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জাপানে। বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছে। শিনজো আবের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে সারা বিশ্বের নেতারাও টোকিওতে জমায়েত হচ্ছেন। গতকাল সোমবার রাজধানী টোকিওর রাজপথে বিক্ষুব্ধ মানুষের ঢল নেমেছিল। জাপানের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী রাজপরিবারের জন্য শুধু আয়োজিত হয় রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য। এর আগে দুজন প্রধানমন্ত্রীকেও অবশ্য দেওয়া হয়েছিল এই সম্মান।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও সাবেক এই জাপানি প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন বহু দেশের দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। এর পাশাপাশি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও থাকবেন সেই সেখানে।

রয়টার্স বলছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস-সহ কমপক্ষে ৪৮ জন বর্তমান বা সাবেক সরকারি ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ জন অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজনের আরেকটি কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগকে উল্লেখ করেছেন।

বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট গ্রুপ অব সেভেন (জি৭) নেতারাও মঙ্গলবারের এই আয়োজনে যোগ দিতে প্রস্তুত। তবে নিজ দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জাপান সফর বাতিল করেছেন। মহা আড়ম্বরে করা হচ্ছে শিনজো আবের শেষকৃত্য। ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার চেয়েও শিনজো আবের ‘শেষ বিদায় অনুষ্ঠান’-এর খরচ বেশি। এটাও মেনে নিতে পারছে না জাপানিরা। এ জন্য তারা বিক্ষোভ করেছেন রাজধানী টোকিওতে।

প্রসঙ্গত, জাপানের দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে (৬৭)। চলতি বছরের জুলাই মাসে নির্বাচনী সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি।

আজ মঙ্গলবারের আয়োজনের জন্য প্রায় ২০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জুলাইয়ে শিনজো আবেকে দেওয়া সুরক্ষায় ত্রুটির কথা আগেই স্বীকার করেছে পুলিশ। নিরাপত্তাগত সেই ত্রুটির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য কঠোরভাবে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা