Saturday, এপ্রিল ২০, ২০২৪

না ফেরার দেশে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। ৭০ বছর রাজত্ব করার পর ৯৬ বছর বয়সী রানি স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ব্রিটিশ রাজপ্রসাদের এক বিবৃতিতে রানির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের বিবৃতিতেও রানির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
এরআগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে রানির শরীরের অবস্থা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন তিনি। খবর পেয়েই ছুটে যান রাজ পরিবারের সদস্যরা। উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসসহ মন্ত্রী এবং সারা বিশ্বের রাজনীতিক ও ধর্মীয় নেতারা।

১৯৫২ সালে তিনি সিংহাসনে বসেন এবং বিশাল সামাজিক পরিবর্তনের সাক্ষী হন। তার মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও প্রাক্তন প্রিন্স অফ ওয়েলস চার্লস নতুন রাজা হবেন। ১৪টি কমনওয়েলথ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস বলেছে: ‘আজ বিকেলে বালমোরালে রানির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।’

রানি এলিজাবেথের জন্ম ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল। তিনি ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৫ বছর বয়সে সিংহাসন আরোহণ করেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে থাকা রানি হিসেবে ২০১৫ সালে রানি ভিক্টোরিয়াকে ছাড়িয়ে যান। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্য এবং আরও ১৪ টি কমনওয়েলথ রাজ্যের রানি ছিলেন।

মায়ের অসুস্থতার খবর পাওয়ার পরপরই স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে পৌঁছে যান চার ছেলে-মেয়ে যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ এডওয়ার্ড (৫৮)। চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়ামও পৌঁছে যান। সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে আসেন উইলিয়ামের ভাই হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান। তার পরই আসে রানির মৃত্যুর খবর।

নিয়ম অনুযায়ী বড় ছেলে যুবরাজ চার্লসই হলেন ইংল্যান্ড এবং ১৪টি কমনওয়েলথ দেশের রাজা। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেতে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে রানির কাছে যান। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রথা ভেঙে এটা করা হয়। ছবিতে স্পষ্ট ধরাও পড়েছিল তাঁর অসুস্থতা। সাধারণত রানি লন্ডনে থাকেন, সেখানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হবু প্রধানমন্ত্রীরা। কিন্তু সম্প্রতি রানির হাঁটাচলায় সমস্যা হওয়ায় লিজ ট্রাসকে বালমোরালে যেতে হয়।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা