ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। রোববার (১২ জুন) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের সঙ্গে সংলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
নূরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে যে সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন হয়, এটা বিশ্বে বিরল। মনে হয়, পৃথিবীতে কোথাও নেই। শত শত, হাজার-হাজার লোক বন্দুক হাতে যুদ্ধাবস্থার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। আমি দায়িত্বে থাকতেও বলেছি, এখনো বলছি যে, এসবের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে তাদের অ্যাকটিভিটিজ আমরা দেখেছি। নির্বাচন পরিচালনার কোনো কাজে তারা আসে বলে আমার মনে হয় না। সুতরাং, আমাদের এই এলিট ফোর্স সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের সময় মাঠে নামানোর কোনো দরকার নেই।
তিনি আরও বলেন, ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে। আমরা যখন স্কুলে ছিলাম, তখন দেখতাম একজন চৌকিদার বাঁশি মুখে আর হাতে লাঠি নিয়ে একটা কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করত। এখন আর্মি, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ নামে। একটা কেন্দ্রে যত সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য থাকে, তা একটা থানার সমান। এখন তো আমাদের সেই পরিস্থিতি নেই যে, বাক্স আছে লোকজন ব্যালটে ভোট দেবে। এখন আছে ইভিএম। ইভিএম এমন একটা বিষয় যেখানে বাক্স ছিনতাই করা যায় না। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে না। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে ইভিএম চালু করা যায় না। এর যথেষ্ট সুবিধা আছে।’