শুক্রবার জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থার লিবিয়া মিশনের প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিন ৯ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেন পুলিশ।
উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপ যাত্রায় মরিয়া লিবিয়াবাসী। অনিশ্চিত এ যাত্রায় ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য প্রাণ, কেউবা আবার কারাগারে মানবেতর দিনযাপন করছেন।
গত এক সপ্তাহে ৫ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। মানব পাচারকারীদের বন্দিশালায় অসংখ্য অভিবাসনপ্রত্যাশী আটকে থাকার খবরে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে শুক্রবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে নিরাপত্তা বাহিনী ৯ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কারাগার থেকে থেকে পালিয়ে আসা অনেকেই। আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সমর্থিত সরকারের কোস্টগার্ডের হাতে আটক হয়। পরে তাদের অভিবাসী বন্দিশিবিরে নেওয়া হয়। আটককৃতদের অনেকেই আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে লিবীয় সরকার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, মানব পাচারকারীদের হাতে কিছু বন্দি গুরুতর যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। বন্দি শিবিরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অমানবিক পরিবেশে রাখা হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ তুলেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের একটি ভিডিওতে, সেখানকার একটি বন্দি শিবিরে অসংখ্য অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গাদাগাদি করে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে, শুক্রবার ত্রিপোলির একটি বন্দিশিবিরে কমপক্ষে ছয় অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থার লিবিয়া মিশনের প্রধান। কয়েকজন বন্দি সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের গুলি করা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।