ইউরোপ বাংলা ডেস্ক : নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পর্যুদস্ত ইউরোপ। বৈশ্বিক এ মহামারিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই মহাদেশই। এই সংকটকালে ঐক্য সবচেয়ে বেশি কাঙ্ক্ষিত হলেও ইউরোপে তা অনুপস্থিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অঞ্চলটির দেশে দেশে রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
করোনার পরবর্তীতে ইউরোপের কি অবস্থা হবে এটা নিয়ে সবার মধ্যে একটা কৌতূহল কাজ করছে। আসযে ইউরোপে ভিসা আবেদনে কড়াকড়ি কিংবা এক্সট্রা রিকোয়ারমেন্টস। ঠিক এমনটাই আভাস দিলেন ইউ বিশেষজ্ঞরা . এই দিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন বলেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ )
এবং এসোসিয়েট সেনজেন মেম্বার এর বর্ডার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হতে পারে। যদিও বর্তমানে ইউ এবং সেনজেন দেশগুলোর বর্ডার মে ১৫ পর্যন্ত বন্ধ আছে এটা বাড়িয়ে আরো পিছনে নেয়া হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে. এর মনে হচ্ছে ৩য় দেশের নাগরিকেরা যাদের ভিসা এবং রেসিডেন্স পারমিট আছে তারা এই সময়ের মধ্যে ইউরোপে প্রবেশ করতে পারবে না .
করোনা পরবর্তীতে ইউ এবং সেনজেন ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে চাওয়া হতে পারে কোভিড-১৯ টেস্ট সার্টিফিকেট ( কোভিড নেগেটিভ ) যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগেও করেছিল সুয়াইন ফ্লু, এবং এবোলার ক্ষেত্রে .
ইউরোপের আরো খবর পড়ুন – সুইডেন হয়ে ইউরোপে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মেয়াদ বাড়ল মে ১৫ পর্য্যন্ত
আর এইদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কবে খুলবে সেটার বেপারে কোন সঠিক ডেডলাইন তারা প্রকাশ করেনি। করোনা প্যানডেমিকের কারণে সকল দেশের দূতাবাস আগামী মে ১৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিবে। কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে যাদের ভিসা বা রেসিডেন্স পারমিট এর মেয়াদ কোলে যাবে বা যাচ্ছে তাদের জন্য জুন ৩০ পর্যন্ত ওই সকল ডকুমেন্টসের বৈধতা কার্যকর থাকবে।