ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট Ursula von der Leyen – গতকাল ইউরোপের পক্ষ থেকে ইতালির কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন এবং বলেছেন শুরুতে যখন ইতালি সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল তখন আমরা পাশে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনি আরো যুক্ত করেছেন – ‘বর্তমানে ইউরোপ বিশ্বের মানবতার হৃদয় হিসেবে পরিণত হয়েছে।’এটা সবসময় বাস্তব সত্য যে, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের কারণে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে ইউরোপ সবসময়ই মানবতা নিদর্শন হিসেবে প্রমাণ পেয়েছে।
ইউরোপে প্রতিটি দেশের সরকারের নীতিনির্ধারণী সবসময় মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে হয়ে থাকে, সব সময় জনগণের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হয়, এবং বাস্তব ভিত্তিক জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।
তারই অংশ হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে , ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদেরখাদ্য সহায়তা, মৎস্য এবং কৃষি খাতে জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে।
কিছুদিন আগের টানাপোড়েন এর কারণে অনেক হয়তো ধারণ করেছেন ইউরোপ ভেঙে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে, তবে এর জন্য অনেক যুক্তি কারণও ছিল।
তবে মোদ্দা কথা হচ্ছে এতগুলো উন্নত সামরিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশের একটা জোট সেই 1958 সালের Rome treaty থেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর , তেমন বড় কোন জটিলতা ছাড়াই আজও পর্যন্ত টিকে আছে, নিশ্চিত তাদের মধ্যে সহনশীলতা এবং মানবিকতা রয়েছে।
হাজারো জাতি , ধর্ম , বর্ণ এবং ঐতিহ্য একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিপালন করার ইতিহাস একমাত্র ইউরোপ এর , যদি ভেঙেও যায় তাও সবসময়ই বিশ্ব মানবতার হৃদয় এর উদহারন হিসেবে পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থেকেই যাবে।