Thursday, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

যুক্তরাজ্যে ইইউ এর পোল্যান্ড, রোমানিয়া সহ ১০ দেশের নাগরিকের সর্বাধিক ইউ সেটেলমেন্ট স্কিমে আবেদন

ইউরোপ বাংলা ডেস্কঃ২০০২ সালের পর থেকে ইইউ  নাগরিক ২০১৫ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক এক বছরে প্রায় ৬ লক্ষ ৩০ হাজার ১৩৩ জন যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হিসেবে স্থায়ী হয়েছেন। এবং  ২০১৬ সালে কিছুটা অপরিবর্তীত থাকলেও পরবর্তীতে প্রতিবছরের স্থায়ীভাবে মোটা অভিবাসীদের বসবাস করার সংখ্যাটা উক্ত হার অনুযায়ী একটু কমতির দিকে। সর্বমোট হিসেবে যুক্তরাজ্যের ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩৭ লক্ষ(কম/বেশি)  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নাগরিক যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হিসেবে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং ১৩ লক্ষ(কম/বেশি) যুক্তরাজ্যের নাগরিক ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বসবাস করছেন।

অপরদিকে যুক্তরাজ্যে ইউরোপের যে সকল দেশের অধিবাসী রয়েছেন তাদের মধ্যে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ব্রেক্সিট পরবর্তী ট্রানজিশন পিরিয়ডে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য  যুক্তরাজ্যে ঘোষিত ইউ সেটেলমেন্ট স্কিম এর আওতায় আবেদন করেছেন তাদের তেমন একটা তারতম্য হয়নি যেমন: এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ইউ সেটেলমেন্ট স্কিমের আওতায় আবেদন করেছেন পোল্যান্ড- ৭,১৮,০০০ , রোমানিয়া- ৬,০৯,০৬০ , ইতালি- ৩,৭২,৩৮০ , পর্তুগাল – ২,৮৬,৩৯০ , স্পেন – ২,২৪,৮০০ , লিথুনিয়া – ১,৮৮,৬৩০ , বুলগেরিয়া – ১,৮৪,৯১০ , ফ্রান্স – ১,৪১,৩৯০ , জার্মানি -১,০১,৫৯০ , লাটভিয়া – ১,০২,৭১০ জন। এবং অবশিষ্ট দেশগুলোর অভিবাসীদের সংখ্যাটা প্রতি দেশ অনুযায়ী এক লক্ষ এর নিচে। লুক্সেমবুর্গ থেকে সর্বোচ্চ কমসংখ্যক ৯৮০ জন যুক্তরাজ্যে (ইউ এস এস) আবেদন করেছেন যদিও ক্ষুদ্র দেশ লুক্সেমবুর্গের মোট জনসংখ্যা ৬ লক্ষ্য ১৩ হাজার ৮৯৪ জন মাত্র।

সর্বমোট ৩৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৭০ জন ইউরোপিয়ান নাগরিক যুক্তরাজ্যে ঘোষিত ইউ সেটেলমেন্ট স্কিম এর আওতায় আবেদন করেছেন সে ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ইউ এর মোট অভিবাসী থেকে আইরিশ নাগরিকদের বাদ দিলে হিসাবটা প্রায় ১০০ ভাগ। তবে এই জনসংখ্যার মধ্যে সবাই যে পাড়ি জমিয়েছেন তা নয় যুক্তরাজ্যে ইউরোপিয়ান নাগরিকদের সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে তারাও এই হিসেবের অন্তর্ভুক্ত। ২০২০ সালের জুন পরবর্তী করোনা মহামারীর কারণে খুব বেশি ইইউ নাগরিক যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাতে পারেননি, তাই ২০১৯ সালের মোট হিসেবে তেমন একটা তারতম্য দেখা যাবে না হিসেবে ধারণা করা যাচ্ছে।

এই মাইগ্রেশনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে চাকরির সহজলভ্যতা, শিক্ষা এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সহজীকরণ। তবে ৪৮ শতাংশ অভিবাসী চাকরির উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্য পাড়ি জমিয়েছেন তাছাড়া ২৬ শতাংশ উচ্চশিক্ষা ,  ৬ শতাংশ পরিবারের সঙ্গে বসবাস এবং ২০ শতাংশ অন্যান্য কারণে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।

আরও খবরঃ

 

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম। ২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি,  সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে। ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়। জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা